রাজবাড়ীতে ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে দিয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরজা খুলতে না পেরে জানালা ভেঙে বাইরে বের হয়ে বেঁচে যান পরিবারের লোকজন।সোমবার দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে পাংশা পৌর শহরের মৈশালা গ্রামের (ফায়ার সার্ভিসের পেছনে) তাঁতীপাড়া এলাকার লিটন কুমার কুন্ডুর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।লিটন কুমার কুন্ডুর অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করতে এভাবে আগুন দেওয়া হয়েছে।
গৃহকর্তা লিটন বলেন, অন্যান্য দিনের মতো তিনিসহ তার ভাই টিটু, ছেলে প্রত্যয় ও মা মুক্তি রানী রাত ১১টার দিকে নিজেদের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। আগুন লাগার পর বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে ঘর থেকে বের হতে গেলে তারা ঘরের দরজা খুলতে পারেননি।
জানালা ভেঙে বের হয়ে সব ঘরের দরজা ও বাড়ির মেইন গেট বাইরে থেকে আটকানো দেখেন। পরে সব ঘরের দরজা খুলে দিয়ে ভাই, ছেলে ও মাকে নিয়ে খড়ির ঘরে লাগা আগুন নেভাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।পাংশা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার রয়েল আহম্মেদ বলেন, বাড়িটি ফায়ার স্টেশনের নিকটেই।আগুন দেখে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, লিটনের বাড়ির খড়ির ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহূর্তের মধ্যে পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। পাংশা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাঁচটি কক্ষের আসবাবপত্র ও একটি খড়ির ঘর পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। একটি মোটরসাইকেলসহ ঘরে থাকা সব আসবাপত্র ভস্মিভূত হয়েছে।পাংশা মডেল থানা পুলিশ ও পৌরসভার মেয়র ওয়াজেদ আলী মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।