মামলা দায়েরের ৪ দিন পর ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল, তরুণীর আত্মহত্যা

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের ৪ দিন পর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে। এরপর লজ্জায় ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে তার মা জানিয়েছেন। সোমবার সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার বালিয়াগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত ২ বছর ধরে বন্দর উপজেলার বালিয়াগাও এলাকার মৃত জামির খানের ছেলে নুরুল আমিন ও একই এলাকার দিনমজুরের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সর্ম্পকের সূত্র ধরে নুরুল আমিন বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

গত ২২ মে বেলা পৌনে ১১টায় ফের ধর্ষণের পর তরুণী নুরুল আমিনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু নুরুল আমিন বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করেন। ওই ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে, গত ২ জুন নুরুল আমিনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

তরুণীর মা জানান, থানায় মামলার করার জের ধরে এ ঘটনায় নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও একই এলাকার তাওলাদ হোসেনের ছেলে (নুরুল আমিনের ভাগ্নে) ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম গত রবিবার তার ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করেন। এতে লজ্জায় তার মেয়ে সোমবার সকাল ১০টায় নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

তরুণীর আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মহসিন ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। তারা দুপুর ১২টায় লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় আরও একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন জানান, ‘এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমি ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হই। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠাই।

এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তরুণীর আত্মহত্যা করার পর থেকে নুরুল আমিন ও অশ্লীল ভিডিও ভাইরালকারী শ্যামলী ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

Exit mobile version