Bangla News

মায়ের পরকীয়া প্রেমের অনৈতিক সম্পর্কে দেখে ফেলায় কিশোরী মেয়েকে হত্যা

বরিশালে মায়ের পরকীয়া প্রেমের অনৈতিক সম্পর্কে দেখে ফেলায় মা ও তার পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আটক “মা” লিপি আক্তার (৩০) কাউনিয়া থানাধীন সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সোহরাব হাওলাদার এর স্ত্রী।শনিবার (৪ জুন) বেলা ১২ টায় বিএমপির কাউনিয়া থানায় লিখিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার।

এ সময় তিনি আরও জানান, বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানাধীন সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের স্ত্রী লিপি আক্তারের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ায় একই ইউনিয়নের রামকাঠি গ্রামের নুরু খানের ছেলে কবির খান।

ঘটনারদিন ২৭ মে দুপুরে লিপি আক্তার তার পরকীয়া প্রেমিক কবির খানের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলাকালে তার মেয়ে তন্নি আক্তার (১৩) বিষয়টি দেখে ফেলে। ঐ সময় মেয়ে তন্নি আক্তার এ ঘটনা তার বাবাকে বলে দেওয়ার কথা বললে ঘাতক মা লিপি আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক কবির খান মিলে মেয়ে তন্নিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

হত্যা নিশ্চিত করে তন্নিকে গলায় দড়ি দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর তন্নি আত্মহত্যা করেছে বলে বিষয়টি এলাকাসীর কাছে জানায় মা লিপি আক্তার। ঐ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন নিহত তন্নির বাবা সোহরাব হাওলাদার। আটক মাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদারের নির্দেশে মামলার তদন্তে গিয়ে মূল রহস্য উদঘাটন করেন কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ছগির হোসেন। 

অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছগির হোসেন বলেন, সন্দেহের সূত্র ধরে বিষয়টি তারা তদন্ত শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা নিশ্চিত হন- কিশোরী আত্মহত্যা করেনি। রাতে কিশোরীর মাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।শনিবার লিপি আক্তারকে আদালতে নেওয়া হলে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, কাউনিয়া জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম শামীম, কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম আবদুর রহমান মুকুল প্রমুখ। 

Back to top button