ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের বিরোধিতা উপেক্ষা করে গ্যাসের নতুন দাম চূড়ান্ত করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগামীকাল রোববার আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্পসহ সব খাতে সমন্বয় করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। গতকাল শনিবার বিইআরসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সংশ্লিষ্টদের দাবি, ভর্তুকি কমাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিস্টেম লস আর দুর্নীতি কমালে ভর্তুকি সমন্বয় সম্ভব।
পেট্রোবাংলা বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে এলএনজির। ফলে স্পর্ট মার্কেট থেকে চড়া দরে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। এ জন্য ১১৭ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ২০ শতাংশ দাম বাড়ানোর পক্ষে মতামত দেয় গণশুনানিতে।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ‘এই এক্সাইটমেন্ট যেন সাধারণ মানুষকে কোনো রকম বিব্রত না করে। তারা যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন। বিশেষ করে বাড়িতে যারা গ্যাস ব্যবহার করেন, অল্প খরচে যারা যাতায়াত করেন সেখানে যেন কোনো প্রভাব না পড়ে। আমার একটা দাবি থাকবে। প্রচুর পরিমাণে সরকারের ভর্তুকি আসবে। সারা বিশ্বে দাম বেড়েছে। সেই জায়গা থেকে যদি সাশ্রয় করা যায়, তাহলে আমাদের জন্য সহনীয় হবে’।
সূত্র জানিয়েছে, গ্যাসের দাম গড়ে প্রায় ১৮ শতাংশের মতো বাড়াচ্ছে বিইআরসি। এর মধ্যে আবাসিকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশের মতো দাম বাড়তে পারে। আর নন-মিটার গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ টাকা হতে পারে।