Bangla News

বেতন–ভাতা বাড়ানোর দাবিতে মিরপুরে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

বেতন–ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুরে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ফলে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরপুর ১০ নম্বর ও এর আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি গাড়ি ভাঙচুর এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বেলা একটার পর অর্ধশতাধিক পোশাক কারখানার কয়েক হাজার পোশাকশ্রমিক সড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা দ্রব্যমূল্যে ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতিতে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর হয়ে কচুক্ষেত সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নিলে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানায়, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন, পোশাকশ্রমিকেরা বিকেল পাঁচটার দিকে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার সময় মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামের কাছে বিজিবির খেলোয়াড় বহন করা একটি গাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে সেটি ভাঙচুর করেন।

তবে বিজিবির খেলোয়াড়েরা তখন ইনডোর স্টেডিয়ামে ছিলেন। আন্দোলনরত শ্রমিকেরা একটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেন।তাঁরা এ সময় পুলিশের দুটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালান। তখন পুলিশ রবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক সালমা খাতুন বলেন, ‘আমরা বহুবার অফিসের স্যারদের অনেকভাবে বুঝিয়েছি—চাল, ডাল, তেলের দাম ও ঘরভাড়া বেড়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে চলতে পারছি না। আমাদের বেতন কিছু বাড়িয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু তাঁরা আমাদের কথা মানতে রাজি না।

ন্যায্য পাওনা না পাওয়ার কারণে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।’তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও এক দিন রাস্তায় নেমেছিলাম। সেদিন আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত কাজ হয়নি। তাই আবার এ এলাকার সব গার্মেন্টসের শ্রমিক দাবি আদায়ে একসঙ্গে নেমেছি।’

Back to top button