চারজন মিলে এক গৃহবধূকে মারধর করছেন। এক পর্যায়ে তাঁর শরীর থেকে সব জামা-কাপড় খুলে গেলেও থামেনি নির্যাতন। বিবস্ত্র অবস্থায়ই পেটাতে থাকেন দেদার। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর স্বামী ও স্থানীয়রা।বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হলে ভোলার চরফ্যাসনের শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ এলাকায় তোলপাড় শুরু হয় এবং নিন্দার ঝড় ওঠে।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় তুচ্ছ বিষয়ে তাঁর ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া লাগে। এতে বড় ভাই হেলাল ও তার স্ত্রী-সন্তানরা মিলে তাঁর (নুরে আলম) স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর করেন। এদিন তিনি বাদী হয়ে ওই চারজনের নামে শশীভূষণ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত হেলাল বলেন, পেঁপেগাছে বেড়া দেওয়া নিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে মারামারির ঘটনায় তাঁর (হেলাল) স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হাজারীগঞ্জের নুরে আলমের স্ত্রী। বসতঘরের পাশের পেঁপেগাছে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে মারধর করেন তাঁর ভাশুর হেলাল, তাঁর স্ত্রী মিনারা এবং তাঁদের মেয়ে শিরিনা ও খাদিজা। ঘটনার তিন দিন পর সেই দৃশ্য কে বা কারা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, হাজারীগঞ্জ এলাকায় মারামারির ঘটনায় মঙ্গলবার পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।