বিএনপি নতুন যে প্ল্যাটফর্ম তৈরির পাঁয়তারা করছে তা গভীর ষড়যন্ত্রঃসেতু মন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি নতুন যে প্ল্যাটফর্ম তৈরির পাঁয়তারা করছে, তা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশবাসী ভালো করেই জানে, গণধিক্কৃত ও গণশত্রুরা রাজনীতির মাঠে জনগণের কল্যাণে কখনোই কিছু করে না। তারা ঐক্যবদ্ধ হলে তাতে জনদুর্ভোগ বাড়ে। গণবিরোধী এসব শক্তির স্বরূপ জাতির সামনে উন্মোচিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এই অশুভ শক্তির ছায়া থেকে দেশের মানুষকে দূরে রাখতে চায়।’
দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর বলেই গ্রেনেডের বিপরীতে গ্রেনেড ব্যবহার করেননি।
এমনকি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় রেখে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি সরাসরি আইন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল হোতা পলাতক আসামি তারেক জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরির পাঁয়তারা করছে, যা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা একাধিকবার গণ-অভ্যুত্থান ও গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে, তাদের মুখে গণ-অভ্যুত্থানের কথা হাস্যকর মনে হয়।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধী দল বিএনপি সরকারবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে নতুন ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
এই চেষ্টার অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে গিয়ে বৈঠক করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে গণসংহতিসহ ৭টি রাজনৈতিক দল সরকারবিরোধী একটি মঞ্চ গড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দেশের সংবিধান-গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে জিয়াউর রহমান তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন বলে বিএনপির নেতারা বলে থাকেন।
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনীতি করার লাইসেন্স দেওয়া, দলছুট রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র চালুর মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছিল জিয়াউর রহমান।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক পন্থা পরিহার করে জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে আসুন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়ে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পাঁয়তারা না করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিন। অন্যথায় বরাবরের মতো জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেন। আশা করি, আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’
আজও বিএনপি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও দলছুট নেতাদের নিয়ে তথাকথিত বহুদলীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরির পাঁয়তারা করছে। এই প্ল্যাটফর্ম মূলত দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের শান্তি-নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার প্ল্যাটফর্ম।