পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসওয়ালাকে খুনের দায় স্বীকার করেছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। এরপরই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। কারণ, ২০১৮ সালে ভাইজানকে খুনের হুমকি দিয়েছিল লরেন্স। সেই কারণেই সিধু হত্যাকাণ্ডের পরে আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না মুম্বাই পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে লরেন্স বিষ্ণোই বলেছিল, ‘আমি করলে তো জানাজানি হয়েই যাবে। সালমানকে যোধপুরেই মারব। এখনো তো আমি কিছু করিনি। অকারণেই আমাকে জড়ানো হচ্ছে।’সেই সময় ‘রেস ৩’ ছবির শুটিং চলছিল। লরেন্সের এই হুমকির পরই তা সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।
আসলে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সালমানের নাম জড়ানোতেই লরেন্সের ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। যোধপুরের যে সম্প্রদায়ের কাছে কৃষ্ণসার হরিণ পূজনীয়, সেই সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধি ছিলেন লরেন্স। একইভাবে যোধপুরে শুটিং করতে দিয়ে লরেন্সের রক্তচক্ষুর কবলে পড়েছিলেন মিকা সিংও। এ কারণে তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল।
ভারতের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, হরিয়ানার স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছ থেকে লরেন্সের বিষয়টি জানার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে সালমান নিজের বাড়িতে নেই।
এদিকে, কানাডার মবস্টার গোল্ডি ব্রার এই খুনের দায় নিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। গোল্ডি লরেন্সের খুবই ঘনিষ্ঠ। আর তাই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এরই মধ্যে তারকার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আশপাশে কোনো ভিড় যাতে না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সিধুর। তার নিজের গ্রামে হওয়া শেষকৃত্যের সাক্ষী হতে জমায়েত হয় হাজার হাজার মানুষ। গত রোববার তাকে গুলিতে ঝাঁজরা করে হত্যা করে আততায়ীরা। ঠিক আগের দিনই তার নিরাপত্তা আলগা করা হয়েছিল। পরের দিনই ঘটে যায় মর্মান্তিক এই ঘটনা। এখন পর্যন্ত এই মামলায় একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।