কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্রারিক্ত নেশা করে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে আশিক কোরাইশি নামের এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তার পরিবারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে মাদক সেবন থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার আশিকের মা তাহমিন চৌধুরীর বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।অভিযুক্ত আশিক ইবির মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি কোরাইশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার জোকার্না গ্রামের মৃত সৈয়দ কায়েদুল হকের ছেলে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৫ মে আশিক কোরেশির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাদক সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আপনার সন্তানকে মাদক সেবন থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী স্থানীয়রা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় কিছু কর্মচারী ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহ করে থাকে। বহিরাগত মাদক ব্যবসায়ীরা ভ্যানচালক, ঘাসকাটা শ্রমিক, দর্শনার্থীসহ বিভিন্ন ছদ্মবেশে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, লালন শাহ হল পকেট গেট, বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেট, লেকসহ বিভিন্নভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকায় আনোয়ার জোয়াদ্দার নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ১৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে ইবি থানা পুলিশ। এসব ইয়াবা তিনি ক্যাম্পাসে সরবরাহের উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছিলেন বলে সূত্রে জানা যায়।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আশিক কোরেশির বৈধ অভিভাবকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। এ ছাড়া আশিককে আমরা একটি কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছি। ক্যাম্পাসে মাদকের আকার দিন দিন ভয়ংকর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। পরবর্তী সময়ে অভিযোগ পেলে আমরা নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নেবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে রাতে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে জ্ঞান হারান আশিক কোরেশি। এক ঘণ্টা পরও জ্ঞান না ফেরায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে যায় সঙ্গীরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়।