দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পর নেপালে নিখোঁজ সেই বিমানের খোঁজ মিলেছে। বিমানটি একটি নদীর কাছে বিধ্বস্ত হয়। নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে ।এর আগে ভ্রমণের সময় মাঝ আকাশ থেকে নিখোঁজ হয় নেপালের এই বিমান। দেশটির ‘তারা এয়ারলাইন্সের’ ওই বিমানে ১৯ যাত্রী ও ৩ ক্রুসহ মোট ২২ জন আরোহী ছিলেন।
নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ন সিলওয়াল এএনআইকে জানিয়েছেন, তারা এয়ারের নিখোঁজ বিমানটি লামছে নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হয়। এটি মানপতি হিমালে ভূমিধসের কবলে পড়েছে। নেপাল সেনাবাহিনী স্থল ও আকাশপথ দিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে বিমানটিতে কোন যাত্রী বেঁচে নেই।
তারা এয়ারের ওই উড়োজাহাজটি পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। ৯এন-এইটি বিমানটিতে ১৯ জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পোখারা থেকে উড়োজাহাজটির সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বিধ্বস্ত ছোট যাত্রীবাহী বিমানের একমাত্র পাইলটের মোবাইল ফোনের সংকেত সেনাবাহিনী এবং উদ্ধার কর্মীদের বিমানের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র সরবরাহ করতে পারে। পরবর্তীতে নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে যে তারা একটি জরুরি লোকেটার ট্রান্সমিটারের ভিত্তিতে খাইবাং-এ বিমানটির সম্ভাব্য অবস্থান সনাক্ত করেছে।
নেপালের লোকেরা পাহাড়ী দেশের দূরবর্তী অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য ছোট, টুইন-ইঞ্জিনের বিমানের উপর নির্ভর করে এবং সাধারণত প্রায়ই দুরঘটনার কবলে পড়ে। 2016 সালে এই একই রুটে একটি তারা এয়ার বিমান নিখোঁজ হয়েছিল।ওই ফ্লাইটে থাকা ২৩ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্যের কেউই বেঁচে ফেরেননি।