পাকাপাকি ভাবে অন্য দেশে থাকাটা অনেকটা স্বপ্নের মতোই। কিন্তু এই বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে, যেখানকার নাগরিকত্ব পেতে ততোটা ঝক্কি পোহাতে হবে না।এক দেশে থেকে অন্য দেশে গিয়ে নাগরিকত্ব পাওয়াটা বেশ খানিকটা ঝামেলার। অনেক দেশে আবার অন্য দেশের নাগরিকরা পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ দেওয়া হয় না।
পৃথিবীর কিছু দেশে না জন্মালেও পেতে পেয়ে যেতে পারেন নাগরিকত্ব। আইনি প্রক্রিয়াও যথেষ্ঠ সরল। এক নজরে দেখে নিন, কোন দেশগুলোতে রয়েছে এমনই সুবর্ণ সুযোগ।
ইকুয়েডর : ইকুয়েডরের নাগরিক হওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে ১ হাজার ডলার থাকা আবশ্যিক। এরই সঙ্গে সেই ব্যক্তির অতীতে কোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িত না থাকার প্রমাণ পত্র দিতে হবে।
সেশলস : এই দেশে পাকাপাকি ভাবে থাকার জন্য একটু বেশি অর্থ খরচ করতে হয়। শুধুমাত্র প্রশাসনকে সাড়ে বারো হাজার মার্কিন ডলার জমা দিতে হবে। এরই সঙ্গে সে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতিও দিতে হবে।
বেলিজ : মধ্য আমেরিকার পূর্ব উপকূল সংলগ্ন এই দেশের পাকাপাকি ভাবে নাগরিক হয়ে উঠতে পারেন আপনিও। এই দেশের নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য যে কোনও ব্যক্তিকে এই দেশে টানা পাঁচ বছরের জন্য থাকতে হবে। এবং ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ডে ২ হাজার ডলার থাকতে হবে। শুধুমাত্র শর্ত একটাই বেজিলের সঙ্গে সংঘাত রয়েছে এমন কোনও দেশে জন্ম নেওয়া বাবা-মায়ের সন্তানরা নাগরিকত্ব পাবেন না।
ম্যাসিডোনিয়া : যদি আপনি ব্যবসায়ে আগ্রহী হন তাহলে আপনি এক বছরের কম সময়েও পেয়ে যেতে পারেন নাগরিকত্ব। তবে হ্যাঁ দিতে হবে ৪ লক্ষ ইউরো।
হাঙ্গেরি : হাঙ্গেরি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। মাত্র দু’ মাসের মধ্যেই কোনও ব্যবসায়ী এ দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যেতে পারেন। সরকারের তহবিলে জমা দিতে হবে ৩ লক্ষ ইউরো।
পানামা : এ দেশে পাঁচ বছর থাকার পর, দিতে এক মেডিক্যাল টেস্ট। যা আবার পাঁচ বছর পর পুনর্নবীকরণ করতে হয়।
প্যারাগুয়ে : প্যারাগুয়ের কোনও ব্যাঙ্কে ৫ হাজার ২০০ ডলার জমা দিতে হবে। এর তিন বছর পর অপেক্ষা করতে হবে। এরপর নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন জমা দিতে হবে। সব কিছু যাচাই করার পর প্রশাসন নাগরিকত্ব দেবে।
কানাডা: কানাডা বর্তমান সময়ে আপনার স্বপ্নের দেশ হতে ঠিক উঠে পরে লেগেছে! তারা অভিবাসীদের জন্য সহজ আর উদারপন্থী কিছু শর্ত রেখেছে। আপনি তাদের দেশে নির্দিষ্ট ১২ ক্যাটাগরিতে সহজেই কাজের সুযোগ পেতে পারেন। এরপর ৫ বছরের মধ্যে কেবল ৭৩০ দিন সে দেশে অবস্থান করলেই আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।