আবারও অস্থির হয়ে উঠছে চালের বাজার। ৩-৪ দিনের ব্যবধানে হিলিতে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৭ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অটো রাইসমিলগুলো পর্যাপ্ত ধান কিনে গুদামজাত করছেন। ধান গুদামজাত করার কারণে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে বাজারে চালের জোগান ও সরবরাহ কম হওয়ার কারণে দাম বাড়তির দিকে। ৩-৪ দিন আগে যে চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে।
চাল কিনতে আসা রেজাউল করিম নামে এক ক্রেতা বলেন, রাত পেরোলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে অসহায় হয়ে পড়েছি। বর্তমানে বাজারে সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী, চালের বাজার কিছুটা হলে সহনীয় পর্যায়ে ছিল। কিন্তু ৩-৪ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বাড়াচ্ছেন। তবুও তাঁদের দেখার বা বলার কেউ নেই। বর্তমানে আমার যে আয় তা দিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, অটো রাইসমিলগুলোর থেকে তাঁরা চাল পাচ্ছেন না। অল্প কিছু পরিমাণ চাল পেলেও তাঁদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। বাড়তি দামে কেনার কারণে তাঁদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ দিকে হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বেকায়দায় পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষজন।
হিলি বাজারের চালের আড়তদার পলাশ ও স্বপন কুমার বলেন, বাজারে চালের জোগান ও সরবরাহ কমার কারণে দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। ৫-৬ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আমরা চাহিদামতো অটো মিলগুলো থেকে চাল পাচ্ছি না। যতটুকু পাচ্ছি সেগুলোও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। মূলত অটো রাইসমিলের চাল বিক্রি কমিয়ে দেওয়ার কারণে বাজারে চালের দাম বাড়তির দিকে।