মেহেরপুর পৌর শহরের একটি পার্কে বেড়াতে এসে সোহেল রানা নামের এক যুবকের উত্ত্যক্তের শিকার হন মা ও মেয়ে। একপর্যায়ে খেপে গিয়ে তাঁরা বাঁশের লাঠি দিয়ে ওই যুবককে বেধড়ক পেটান। গতকাল শুক্রবারের ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর মা বলেন, কলেজ ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের এখনো বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্তের শিকার হতে হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে মেয়েরা কলেজ যেতে পারবে না। এ জন্য প্রতিবাদ করতে হয়েছে।এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান বলেন, এমন একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত সোহেল রানার দাবি, একসময় ওই মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এখন বিষয়টি অস্বীকার করছেন তিনি। সোহেল মুঠোফোনে বলেন, ‘গতকাল হঠাৎ ওই মেয়ে ও তাঁর মা অহেতুক লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করেন এবং সেটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।’
মা ও মেয়ের অভিযোগ, সোহেল রানা দীর্ঘ তিন মাস ধরে কলেজপড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীকে (মেয়ে) উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। যদিও সোহেলের দাবি, ওই মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্ত সোহেল মেহেরপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা।এ বিষয়ে ওই মেয়ে বলেন, সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরে কলেজে যাতায়াতের সময় তাঁকে উত্ত্যক্ত করে আসছেন।
সামাজিক কারণে এত দিন চুপ ছিলেন। কিন্তু গতকাল মায়ের সামনে উত্ত্যক্ত করলে তাঁকে (সোহেল) তাঁর মা লাঠি দিয়ে মারধর করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সামাজিকভাবে লজ্জাজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন তিনি।