ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফের সংঘাতে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের কর্মীরা। গতকাল হাইকোর্ট এলাকা থেকে ছাত্রদল কর্মীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। শুরুতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলার পর একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আশ্রয় নেতা ৩ জন ছাত্রদলকর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এছাড়া সেখানে থাকা আইনজীবীরা হামলার শিকার হন। ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় সাংবাদিকও আহত হয়েছে। হামলা সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রদল দাবি করেছে হামলায় তাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে শনি ও রোববার দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে ছাত্রদলকে প্রতিহত করা হবে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় ছাত্রদল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, ছাত্রদলের পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে বিনা উস্কানিতে রড, চাপাতি ও অস্ত্র নিয়ে নির্মমভাবে হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে আমাদের সাতজন গুরুতর জখমসহ অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগ এখন একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে, আমরা আশা করবো তারা সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্দেশে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করে ছাত্রদল। হাইকোর্ট মোড় হয়ে দোয়েল চত্বরের কাছাকাছি আসতেই মিছিলটি ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। তারা ছাত্রদলের মিছিলকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
পাল্টা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এভাবে চলতে থাকে প্রায় দশ মিনিট। এ সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দেখা যায়। এরপর মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগ দিলে তারা একত্রে ছাত্রদলের মিছিলটিকে ধাওয়া দেয়। এতে ছাত্রদলের মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ সময় ছাত্রলীগের মিছিলে থাকা নেতাকর্মীদের হাতে রড চাপাতি ও আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা যায়। হামলা থেকে বাঁচতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জাতীয় প্রেস ক্লাব ও হাইকোর্টের ভেতরে অবস্থান নেন। হাইকোর্টে আশ্রয় নেয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীদের খোঁজে ছাত্রলীগের বড় একটি অংশ হাইকোর্টের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বেশ কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকে রড লাঠি ও চাপাতি দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদল নেতা শাহীনুর শাহীন, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, শাকির আহমেদসহ সাতজন গুরুতর আহত হন। এর বাইরে আরও প্রায় ৪০ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী হামলায় আঘাত পান। এরমধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হওয়া মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত শাহাব উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীও আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় একজন সাংবাদিককে ‘ছাত্রদল’ তকমা দিয়ে ব্যাপক মারধর করে ছাত্রলীগ। এ সময় তার মুঠোফোনও কেড়ে নেয়া হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক আবির আহমেদের ফোন ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও তাকে ছাত্রদল কর্মী বলে মারধর করা হয়।
ছাত্রদল-ছাত্রলীগের ফের সংঘর্ষ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের সংঘর্ষ হয়নি বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো ধরনের সংঘর্ষ হয়নি।
যা হয়েছে তা ক্যাম্পাসের বাইরে এলাকায়, রাস্তায়, হাইকোর্ট মোড়ে। তিনি আরও বলেন, আমি আমার সহকারী প্রক্টর, প্রক্টরিয়াল টিম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মারফতে খোঁজ-খবর নিয়েছি। এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছি। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে দেয়া যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, হাইকোর্ট এলাকাকে ব্যবহার করে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসের পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগ তাতে বাধা দেয়। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের রড, চাপাতি ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষায় যা করা দরকার তা ছাত্রলীগ করেছে। সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগ কেউ দিলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি জানান।
ওদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের প্রবেশ ঠেকাতে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অবস্থান ছিল সকাল থেকেই। মোটরসাইকেল মহড়া দিতেও দেখা যায় তাদের। দিনভর অবস্থান নিয়ে তারা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত স্লোগান দিতে থাকে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আশ্রয় নেয়া ছাত্রদলের তিন কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার ছবি তোলা ও ভিডিও করায় উপস্থিত আইনজীবীদের ওপরও হামলা চালায় তারা। এ সময় তারা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারসহ কয়েকজন আইনজীবীর গাড়ি ভাঙচুর করে।
ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বিক্ষোভ করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে প্রবেশ করে আইনজীবীদের ওপরে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের গুণ্ডা বাহিনী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জয় বাংলা বলে তিন ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছে। তিন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপরে হামলা করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশ উপস্থিত ছিল। কিন্তু পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিও জানান তিনি। তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে রক্তক্ষয়ী ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্ব কি অ্যাটর্নি জেনারেলের? তার হয়তো জানা নেই। আসলে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির আইন সম্পাদক আমার পদত্যাগ চেয়েছেন। পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগের ভিত্তি নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাইকোর্ট এলাকার আশেপাশে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে তারা হাইকোর্ট মাজার মসজিদের সামনে থেকে মাজারগেট ও শিক্ষাভবনের সামনে জড়ো হয়। এরপর তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। অপরদিকে শিশু একাডেমি ও দোয়েল চত্বর এলকায় আগেই অবস্থান নিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদলের মিছিলটি হাইকোর্টের মাজার গেট পেরিয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হতেই ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোটা, হকিস্টিক ও রড দেখা যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে ছাত্রদলের একটি গ্রুপ পিছু হটে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদল কর্মীদের পিছু ছোটে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে গিয়ে দৌড়ে আশ্রয় নেয় ছাত্রদলের কর্মীরা। একপর্যায়ে নাহিদ চৌধুরী নামে কবি নজরুল কলেজের ছাত্রদলের এক কর্মীকে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে ধরে বেধড়ক পেটানো শুরু করে। অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
কিছুক্ষণ পর আইনজীবী সমিতি ভবনের কাছে আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের মধ্যেই হামলার শিকার হন লিখন চৌধুরী নামের ছাত্রদলের আরেক কর্মী। হাইকোর্ট মসজিদের সামনে ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের কর্মী সাহাবুদ্দিন সিহাবকেও বেধড়ক পেটানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে আমাদের নেতাকর্মীরা সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখানেও ছাত্রলীগ আমাদের ওপরে সশস্ত্র হামলা চালায়। ছাত্রলীগের হামলায় আমাদের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে তিন-চারজনের অবস্থা খুবই খারাপ।
নাহিদ চৌধুরী ও সাহাবুদ্দিন সিহাবের অবস্থা খুবই গুরুতর। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, সাবেক বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের যে আলামত, সেটি দেখা যাচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে এসে এভাবে গাড়ি ভাঙচুর, এটা কিসের আলামত? আগে তো সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে এসে কেউ মারামারি করতো না। তিনি বলেন, এ দেশে বিচার চেয়ে লাভ নেই। সরকার যেটা চাইবে সেটাই হবে। সরকার যেটা চাইবে না, সেটা হবে না। পুলিশ এটার (গাড়ি ভাঙচুরের) এফআইআরই নেবে না।
এদিকে হামলার ঘটনার ভিডিও ধারণ করার সময় তিন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা করা হয় বলে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট। মিছিল শেষে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।
এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক আবেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের ট্রেজারার কামাল হোসেন, আইনজীবী ব্যারিস্টার সফিউল আলম মাহমুদ প্রমুখ।
বক্তারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীর ওপর বহিরাগতের হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তার বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, বার ভবনে ঢুকতেই দেখি একদল ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বার ভবনের সামনে এসে একটা ছেলেকে বেধড়ক মারধর করছে। আমাদের কয়েকজন আইনজীবীকেও তারা মারধর করে। উৎসুক আইনজীবীদের ধাওয়া করে তারা। এ সময় আরও একটা ছেলেকে মারধর করে।
পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বললাম। কিন্তু পুলিশ নিরস্ত্র ও প্রশাসনের অনুমতি লাগবে বলে জানান। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে আইনজীবীদের নিরাপত্তা কোথায়? কাল যদি কেউ আমাকে এভাবে মারধর করে, তখন কি হবে? সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে সর্বোচ্চ বিচারালয়। সেখানে আইনজীবীদেরও নিরাপত্তা নেই।
ঘটনার পরপরই সুপ্রিম কোর্ট, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, রমনা অঞ্চলের ডিসি, আপিল ও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বৈঠক হয়।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা জোরদার করতে বেলা সাড়ে ১২টায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী রোববার থেকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীরা যাতে সুপ্রিম কোর্টে নির্বিঘ্নে, স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের গেটগুলোতে আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।