ব্রাজিলের রিওডি জেনিরো শহরের একটি বস্তিতে গতকাল মঙ্গলবার মাদকবিরোধী অভিযানে অন্তত ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। রিও ডি জেনিরো শহরের ইতিহাসে এ যাবৎকালে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী একটি অভিযানের এক বছর পর এই অভিযান চালানো হলো বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
অভিযানের পর প্রাথমিকভাবে ১১ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়। তবে এরপর আরও লাশ উদ্ধার হতে থাকলে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয় দ্বিগুণ। পুলিশ বলেছে, অভিযানে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১১ জন সন্দেহভাজন। বাসিন্দারা বলছেন, বন্দুকযুদ্ধের কারণে ওই এলাকার অন্তত ১৯টি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের গুলিতে আহত আরও সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সামরিক পুলিশ বলেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ‘অপরাধী নেতাদের’ অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে শহরের উত্তরের ভিলা ক্রুজেইরো বস্তিতে অভিযানের সময় গুলির মুখে পড়ে এসব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রাণঘাতী সংঘর্ষের সময় পুলিশের একাধিক হেলিকপ্টারও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মাদক পাচার ঠেকাতে ব্রাজিলের পুলিশ প্রায়ই রিও ডি জেনিরোর জনবহুল বস্তিতে অভিযান চালায়। তবে এবার পুলিশ বলছে, ব্রাজিলের অন্য অংশ থেকে এসে ভিলা ক্রুজেইরোতে লুকিয়ে থাকে অপরাধী চক্রের নেতাদের সন্ধানেই এই অভিযান।ভিলা ক্রুজেইরোয় এই অভিযান চালিয়েছে ব্রাজিলের সামরিক পুলিশ।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা আরেকটি বস্তিতে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলেও জানান কর্নেল লুইস হেনরিক। এএফপি বলছে, এক বছর আগে জাকারেজিনহো নামের একটি বস্তিতে পুলিশের অভিযানে ২৮ জন নিহত হন, যা শহরটির ইতিহাসে অভিযানে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা। এরপর গতকালের এই অভিযান সবচেয়ে প্রাণঘাতী।
অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সেনা কর্মকর্তা কর্নেল লুইস হেনরিক মরিনহো পিরেস। তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে এই অভিযানের পরিকল্পনা চলছিল। কিন্তু এদিন রাতে আমরা অপরাধীদের গতিবিধির কথা জানতে পেরে এ অভিযান পরিচালনা করি।’