যমুনার ওপর মাত্র ৪ কিলোমিটার সেতু নির্মাণ ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘যমুনা নদীর প্রশস্ততা বিবেচনায় না এনে নদীর ওপর মাত্র চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। তবে এর নকশা এবং পরিকল্পনা আগের সরকারের সময় করা হয়েছিল। তাই কিছু করার ছিল না, কেবল এতে রেললাইন অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে যমুনা, পদ্মাসহ নদীর প্রবাহ ও তলদেশের মাটির চরিত্র পরিবর্তন হয়। এখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের মতো নয়। তাই এই পার্থক্য মাথায় রেখে সঠিকভাবে পরিকল্পনা নিতে হবে।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের একেক এলাকা একেক রকম, এটাও মাথায় রাখতে হবে। যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে আরও ভালো করে চিনতে হবে, জানতে হবে।’
আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ডেলটা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের প্রথম সভায় ভাষণে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে যমুনার ভুলের পুনরাবৃত্তি করা হয়নি। ফলে সেতুটি দীর্ঘ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি পদ্মা সেতু ছোট করতে দিইনি। আমরা নদীর সঙ্গে বাফার জোন রেখে সেতু নির্মাণ করেছি। সুতরাং সেতুটি (দেশের) দীর্ঘতম হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় তার সরকার পদ্মা নদীর ওপর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেই সম্ভাব্যতা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনি সেতুর নকশা নতুন করে করান। আমি এখানে কোনো গোঁজামিল দিতে দিইনি। নকশা পাল্টে যেখানে যতটুকু ওজন নিতে পারবে, সেভাবেই এটা করা হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার এই ব-দ্বীপের জনগণকে নিরাপদ করতে এবং জনগণকে উন্নত জীবন দিতে ‘ডেলটা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের অর্জিত বিশাল সমুদ্র এলাকা ডেলটা প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”