চিকিৎসার কথা বলে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার পেয়ারীখোলা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর প্রায় অর্ধকোটি টাকাসহ গয়না নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসীর স্ত্রীর নাম তামান্না আক্তার সুমী। তাঁর এক কন্যাসন্তান রয়েছে। এ বিষয়ে ১৭ মে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্বামী রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৮ বছর আগে বিবাহ হয় তাঁদের। দাম্পত্যজীবনে এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর রফিকুল স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আয়ের সমস্ত টাকা জমা রাখতেন। মেয়ের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নারায়ণপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তিনি।
নারায়ণপুর বাজারের এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীর সঙ্গে তামান্নার পারিবারিক, অর্থনৈতিক লেনদেনসহ সকল প্রকার যোগাযোগ হতো। পরিচয়ে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরকীয়ার সূত্র ধরে তামান্না ডাক্তার দেখানোর কথা বলে ১৩ মে বেলা সাড়ে ৩টায় বাড়ি থেকে বের হন। যাওয়ার সময় ৩১ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যের ২০ ভরি স্বর্ণসহ আনুমানিক মোট ৪১ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন রফিকুল।
অভিযুক্ত তামান্না উপজেলার ৩ নম্বর খাদেরগাঁও ইউনিয়নের হুরমহিষা গ্রামের হানিফ মিয়াজী বাড়ির কালু মিয়াজীর মেয়ে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম উপজেলার ১ নম্বর নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের পেয়ারীখোলা গ্রামের আবু তাহের পাটোয়ারীর ছেলে। তিনি ২৫ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন এবং নারায়ণপুরে স্ত্রী ও এক মেয়েসহ একত্রে বসবাস শুরু করেন।
এ বিষয়ে তামান্না আক্তার সুমীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি। তামান্নার বাবার বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’