অর্থ ও বাণিজ্যএক্সক্লুসিভএশিয়াবিশ্ব সংবাদব্যাংকিং

ডলারের বিপরীতে ভারত ও পাকিস্তানী রুপির সর্বকালের সর্বনিম্ন হার

বাংলাদেশের পাশাপাশি এশিয়ার অনেক দেশেই ডলারের বিপরীতে কমছে স্থানীয় মুদ্রার দাম। গতকাল ডলারের বিপরীতে ভারত ও পাকিস্তানের স্থানীয় মুদ্রা রুপির লেনদেন হয়েছে সর্বকালের সর্বনিম্ন হারে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৭৭.৭৩ রুপিতে।এই বিনিময় হারেই লেনদেন শেষ হয়েছে।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কয়েক দিন পর এ বছরের মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো রুপির দামের রেকর্ড সর্বনিম্ন হার ছুঁয়ে যায়। এর পর থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মাধ্যমে রুপিকে রক্ষা করেছে। ইউরোপের এই যুদ্ধ এরই মধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতির দিকে আরো ধাক্কা দিয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

পিটিআই জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে ৭৭.৭২ রুপিতে প্রতি ডলার বিক্রি শেষ হয়েছে। গত বুধবার একতরফা মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগের জন্য রুপি রেকর্ড সর্বনিম্ন ৭৭.৬১-তে লেনদেন বন্ধ হয়। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া হস্তক্ষেপ না করলে মুদ্রার ক্ষতি আরো অনেক বেশি হতে পারত।

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো রেট বাড়ানোর পর থেকেই ভারতীয় রুপি ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে।গত ১০টি ট্রেডিং সেশনেই রুপি ক্রমেই দুর্বল হয়েছে। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো রুপি দুর্বল রেকর্ড করেছে। ব্লুমবার্গ দেখিয়েছে, রুপি সর্বকালের সর্বনিম্ন ৭৭.৭৩-তে এসে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

গতকাল পাকিস্তানি রুপির দাম কমে সর্বকালের সর্বনিম্ন হয়েছে। এদিনে আন্ত ব্যাংক লেনদেনে মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির মান ২০০ হয়। যদিও দিন শেষে দাম সামান্য বেড়ে প্রতি ডলার হয় ১৯৮.৩৯ রুপি।অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে আইএমএফ মিশনের প্রধানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল।

বিশ্লেষকদের মতে, চাহিদার তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ কম, বিশ্বব্যাপী নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতে।এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির মুদ্রার মানের পতন ঠেকাতে এবং অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে দেশের আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

Back to top button