চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার আল মাদানী রোডের একটি টেইলার্সে অভিযান চালিয়ে মো. রিয়াজ ওরফে জুবায়ের (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রেমিকার ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও ছবি মোবাইল ফোন থেকে ডিলেট করেননি। উল্টো তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক চালিয়ে নিতে বাধ্য করেছিলেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার বলেন, ওই তরুণী র্যাব-৭ কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দেওয়ার পর মানবিক কারণে র্যাব-৭ অভিযানটি পরিচালনা করে। ওই তরুণী গার্মেন্টকর্মী। তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে এবং এই সুযোগে তরুণীর ব্যক্তি ছবি তোলে।
এরপর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তবে ২০ হাজার টাকা দিলে ছবিগুলো মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলবে বলে জানায়। রিয়াজের এমন আশ্বাস পেয়ে তরুণী বিকাশের মাধ্যমে রিয়াজকে ২০ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু টাকা পেয়েও রিয়াজ ছবি মোছেননি। উল্টো পুনরায় ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সম্পর্ক চালিয়ে নিতে বাধ্য করেন।
এরই মধ্যে তরুণী তাকে বিয়ের জন্য রিয়াজকে চাপ দিলে উল্টো রিয়াজ ছবিগুলো পুনরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
গত বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার পাঁচলাইশ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন তার প্রেমিকা। সেই মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কারাগারে যাওয়া রিয়াজ ভোলা জেলার লালমোহন থানার চর কালাচাঁন গ্রামের মো. সিরাজের ছেলে। বর্তমানে দর্জি দোকানের কর্মী হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় বাস করেন।