এক্সক্লুসিভবাংলাদেশ

রাজধানীতে শুধুমাত্র ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেই টিসিবি’র পণ্য দেয়া হবে

রাজধানীতে এখন শুধুমাত্র ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেই টিসিবি’র পণ্য দেয়া হবে। খোলাবাজারে ট্রাকে করে আর কোনো পণ্য বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বিক্রয় কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা ও প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছানোর লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার থেকে ট্রাকসেল করার ঘোষণা দিয়েও আগের দিন রাতে তা স্থগিত করে টিসিবি। 

এ বিষয়ে টিসিবি’র মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ফ্যামিলি কার্ড ছাড়া এখন আর কাউকে টিসিবি’র পণ্য দেয়া হবে না। প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি’র পণ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ) ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ফ্যামিলি কার্ড প্রণয়ন এবং বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে।আগামী মাসের শুরুতে এক কোটি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য দেয়া হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২ লাখ পরিবারকে কার্ড দেয়া হবে। 

এতদিন রাজধানীতে খোলাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সারা দেশের নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করেছে সরকারি এ বিপণন সংস্থা। যা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে ভ্রাম্যমাণভাবে বিক্রি করা হতো। ফ্যামিলি কার্ড প্রবর্তনের কারণে এ সুযোগ এখন আর থাকছে না।

এদিকে ঢাকা ও বরিশালে ফ্যামিলি কার্ড হোল্ডারদের তালিকা প্রস্তুত করে জুনের শুরু থেকেই এক কোটি মানুষকে পণ্য দেয়ার জন্য ১৫ দিন পেছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রিতে সুফল পায় কেবল শহরের মানুষ।

গ্রামের মানুষকেও সেই সুফল দিতে জুনের শুরু থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কাছে কম দামে পণ্য বিক্রি করা হবে। ১৬ তারিখ থেকে যেটা দিতে চেয়েছিলাম, সেটা কিন্তু এক কোটি মানুষকে নয়, ট্রাকে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এমন শহরগুলোতে দিতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন, শহরের এই মানুষগুলোকে দেয়া হচ্ছে, গ্রামের মানুষকে তো দেয়া হচ্ছে না। একটু সময় নিয়ে ঢাকাতে আমরা দেবো এবং গ্রামেও দেবো।

ফ্যামিলি কার্ড প্রণয়ন এবং বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটির ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল্লাহ বলেন, আমার ওয়ার্ডে পাঁচ হাজার পরিবারের জন্য কার্ড বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চার হাজার পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বাকি পরিবারদেরকেও দেয়া হবে। কার্ড নিতে যারা আগ্রহী, তাদেরকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ফ্যামিলি কার্ড প্রণয়ন ও বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে শুধু ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেই টিসিবি’র পণ্যসামগ্রী বিক্রি হবে।

ঢাকায় ট্রাকে করে দেয়া হয় ১৫ লাখ মানুষকে। বাকি ৮৫ লাখ দরিদ্রের কার্ড থাকে, তাদেরকে দেয়া হয়। ইনস্ট্রাকশনটা এসেছে এবং আমরাও রি-অ্যারেঞ্জ করেছি। ৮৫ লাখ মানুষকে বাদ দিয়ে ১৫-১৬ লাখ মানুষকে দেয়ার চেয়ে একটুখানি সময় নিয়ে সবাইকে দেয়া হবে। 

Back to top button