পিতা ও মাতার অবর্তমানের সুযোগ নিয়ে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে ৬-৭ জন বখাটে যুবক। এ সময় ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা মাদ্রাসাছাত্রীর খালাতো বোন (২২) কেও ধর্ষণ করে তারা।
ভুক্তভোগীর ২৪ মাস বয়সের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। গত রোববার রাতে ভিকটিমদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল তাদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ভিকটিমদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছে।
বটিয়াঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জালাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভিকটিমের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর মা বলেন, শনিবার বিকালে তিনি তার ১৩ বছর বয়সী ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে ও তার বোনের মেয়েকে বাড়িতে রেখে ডুমুরিয়ায় যান। ওই সময় তার স্বামীও বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় বাড়িতে ওরা দুই বোন ও আমার ছোট ছেলে ছিল। মধ্যরাতে ৭ জন বখাটে আমাদের বাড়িতে আসে।
এদের মধ্যে কয়েকজন ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে দুই বোনের হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় ঘরের বাইরে পাহারায় ছিল আরও কয়েকজন। এ ঘটনার সময় আমার বোনের মেয়ের গলায় ছুরি ধরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাতে আমার মোবাইলে চার্জ না থাকায় মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সকালে মেয়ে ফোনে কল করে কান্নাকাটি করে গণধর্ষণের ঘটনা জানালে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে রোববার রাতে তাদের খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে দু’জনকে চিনতে পেরেছে। একজনের নাম নাঈম আর একজনের নাম মুজাহিদ।