পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ে করে ভাইরাল হয়েছিলেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণ (২৫)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুজনকে নিয়ে সংসার করা হচ্ছে না তার।বিয়ের মাত্র ২২ দিনের মাথায় তার সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী মমতা রানীর বিচ্ছেদ হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
রোহিনীর বাবা যামিনী চন্দ্র বলেন, ‘মমতা রানী স্বেচ্ছায় আমার ছেলেকে ডিভোর্স দিয়েছে।এতে আমরা অমত করিনি।’বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিচ্ছেদের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাইনি। দুই পক্ষের কেউ কিছু জানায়নি। তবে লোকমুখে শুনছি মেয়েটি নিজেই নাকি ছেলেকে ডিভোর্স দিয়েছেন।’
রোহিনী-মমতার বিবাহবিচ্ছেদের কারণ জানা যায়নি। রোহিনীর প্রতি মমতার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তার ভাই পলাশ রায়। তিনি বলেন, ‘আর বাড়াবাড়ি করতে চাই না। বোনের ভবিষ্যতের বিষয়ে চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত।’
জানা গেছে, বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর (২০) সঙ্গে রোহিনীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তারা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুজনই।এরই মধ্যে রোহিনী নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন লক্ষীদ্বার গ্রামের টোনো কিশোরের মেয়ে মমতা রানীর (১৮) সঙ্গে।
একপর্যায়ে মমতা রানীর সঙ্গে গত ১২ এপ্রিল রাতে দেখা করতে যান রোহিনী। সেখানে দুজনকে একসঙ্গে দেখে মমতার পরিবারের লোকজন রোহিনীকে আটকে রাখেন। পরে ১৩ এপ্রিল বিয়ের ব্যবস্থা করেন তাদের।অন্যদিকে, রোহিনীর বিয়ের খবর শুনে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেন ইতি রানী। পরে ২০ এপ্রিল রাতে রোহিনীর বাড়িতে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুই বিয়ে একসঙ্গে সম্পন্ন হয়।
গত ২০ এপ্রিল রাতে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার এলাকার রোহিনী চন্দ্র বর্মণ ইতি রানী (২০) ও মমতা রানী (১৮) নামের তার দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করেন। পরে একসঙ্গে ঘরে তোলেন দুই স্ত্রীকে।