ডেলিভারিম্যান নাহিদ হোসেনকে হত্যায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার
নিউমার্কেটের দোকানকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান নাহিদ হোসেনকে ‘হত্যায় জড়িত’ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৮ এপ্রিল রাতে নিউমার্কেটের দোকানের কর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরদিন মঙ্গলবার দিনভর সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। একটি কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান নাহিদকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। ইটের আঘাতে আহত হন মোরসালিন নামের আরেক দোকানকর্মী। পরে দুজনই হাসপাতালে মারা যান।
আজ বৃহস্পতিবার মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার পাঁচজনই ঢাকা কলেজের ছাত্র বলে জানান এ কে এম হাফিজ।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন মো. আবদুল কাইয়ুম, পলাশ মিয়া, মাহমুদ ইরফান, মো. ফয়সাল ইসলাম ও মো. জুনাইদ বুগদাদী।
এই ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা করেছে পুলিশ। আরেকটি মামলা করেছেন সংঘর্ষের দিন ভাঙচুর হওয়া অ্যাম্বুলেন্সের মালিক। এর মধ্যে হত্যা মামলা দুটির তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। বাকি তিন মামলায় নিউমার্কেট থানার পুলিশ তদন্ত করছে।
নাহিদকে কুপিয়ে জখম করার একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যে। নাহিদকে কুপিয়ে জখমের সঙ্গে বাসার ইমন নামের একজন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ বলেন, ‘ছবিতে যাঁকে কোপাতে দেখা গেছে, তিনি বাসার ইমন কি না, এটা আমরা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আমরা তাঁর পরিচয় জানাতে পারব।’
আজ সংবাদ সম্মেলনে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, নিহত নাহিদ হোসেন সংঘর্ষের সময় দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি ছাতা নিয়ে এগোচ্ছিলেন যাতে ইটপাটকেল না লাগে। একসময় নাহিদ দেখতে পান তাঁর পেছনে থাকা লোকজন চলে গেছে। তিনি একা হয়ে পড়েন। এ সময় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা তাঁর ওপর হামলা চালান।
সেদিনের সংঘর্ষের ঘটনার পর মোরসালিনের হত্যার ব্যাপারে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানানো হয় আজকের সংবাদ সম্মেলনে। এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, মোরসালিসকে কে হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি। তবে তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।