সাবেক সেনা সদস্যের ওপর হামলা চালিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার ও ব্যাংকের আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে সাবেক সেনা সদস্য আব্দুস সালাম খলিফার (৬৫) ওপর হামলা চালিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহতকে উদ্ধার করে লেবুখালী সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া সোনালী ব্যাংক শাখায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে গৌরনদী মডেল থানায় লিখত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

অভিযোগ অস্বীকার করে নলচিড়া সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার জুয়েল সরকার বলেন, ‘আব্দুস সালাম ব্যাংকের লোন ডকুমেন্ট ফাইলের কাগজপত্র নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন, তাই তাঁকে আনছার সদস্যরা ধাওয়া করে ধরেছেন। তাঁরা হয়তো একটু মারধর করতে পারেন। আমি কোনো মারধর করিনি।’ 

পা ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটাতো মেডিকেল রিপোর্টেই জানা যাবে কীভাবে তাঁর পা ভেঙেছে।’ এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন জানান, থানায় দুই পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আহত সাবেক সেনা সদস্য আব্দুস সালাম জানান, গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া বাজারে তাঁর জননী ইলেকট্রনিকস নামের দোকান রয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল রাতে অগ্নিকাণ্ডে দোকানের মালামাল পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া জননী ইলেকট্রনিকসের নামে গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া সোনালী ব্যাংকে ইনস্যুরেন্স করেছিলেন আব্দুস সালাম। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নলচিড়া সোনালী ব্যাংকে যান তিনি। 

এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার জুয়েল সরকার আব্দুস সালামকে ১৭ এপ্রিল ইনস্যুরেন্স ইস্যু করা কাগজপত্র দেখিয়ে তাতে স্বাক্ষর করতে বলেন। এ সময় আব্দুস সালাম ম্যানেজারকে বলেন, দোকান পুড়েছে ১৩ এপ্রিল এখন যদি ১৭ এপ্রিল ইস্যু করা ইনস্যুরেন্সের কাগজপত্র দেওয়া হয় তাহলে আমি কীভাবে ক্ষতিপূরণ পাব। ব্যাংকের ম্যানেজার জুয়েল বলেন, আপনার কোনো সমস্যা নেই। আমি আগুনের তারিখ পরে দেখিয়ে সব কাগজপত্র দেব।

আব্দুস সালাম ম্যানেজারকে বলেন, আমি কোনো জালিয়াতির আশ্রয় নেব না। সঠিক তারিখের কাগজপত্র দেন। ম্যানেজার সালামের কথায় কোনো কর্ণপাত না করলে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে আব্দুস সালামের বাম পায়ে লাথি মারলে তিনি নিচে পড়ে যান। নিচে পড়ে গেলে ব্যাংকের ম্যানেজার লাথি মেরে মেরে পা গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে যোগ দেন ব্যাংকের দুই আনসার সদস্যও। পরে সালামকে উদ্ধার করে লেবুখালী সম্মিলিত সাময়িক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে ভর্তি করা হয়। 

Exit mobile version