কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ায় শুক্রবার দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
খুরুশকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকী বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ফারুক ও রাশেদের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জেনেছি। এতে উভয়পক্ষ গুলিবর্ষণ করে। এতে ১২-১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছি।’স্থানীয় সূত্র জানায়, খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়ার ফারুক ও রাশেদের মাঝে দীর্ঘদিন জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে জুমার নামাজের পর দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ফারুকের অভিযোগ, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাশেদের ভাই আবু সুফিয়ান ও তাদের পক্ষের মনজুরের ভাতিজা বাবু এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে তিনিসহ ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে ইফতাদুলসহ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাশেদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান জানান, ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ১২ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জনের চোখে গুলি লাগায় তা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হরা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এপর সদর হাসপাতালে গিয়ে তিনজন গুলিবিদ্ধ ভর্তি আছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।