চরফ্যাশনে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণকালে এক যুবককে গ্রামবাসী হাতেনাতে আটক করলেও স্থানীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাজ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষক নুরুল হক মাঝিকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ওই ইউনিয়নের চর নাজিম উদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণধোলাই শেষে তাকে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তবে পুলিশ আসার আগে মাদ্রাজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রাতেই চরফ্যাশন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযুক্ত যুবককে আটক করতে পারেনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বামী খুলনায় কর্মস্থলে থাকায় এক সন্তান নিয়ে গৃহবধূ একাই বাড়িতে থাকেন। প্রতিবেশী নুরুল হক তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রস্তাবে সাড়া না দিলে মঙ্গলবার তারাবির নামাজ শেষে তার বসতঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং ওই যুবককে আটক করেন।
তবে ছাত্রলীগ সভাপতি আজাদ দাবি করেন, খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে গেলেও ধর্ষককে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি সঠিক নয়। চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযুক্ত নুরুলকে আসামি করে মামলা করেছেন। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।