ঝিনাইদহে এক নারীকে ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হরিশংকরপুর ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ ও তার গাড়ির ড্রাইভার শাহীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা অবশেষে রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রাতেই মামলা রেকর্ড করে। ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। একজন জনপ্রতিনিধির এ রকম কর্মকান্ডে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। তবে মামলা হওয়ার পর চেয়ারম্যান ফরিদ প্রকাশ্যে ঝিনাইদহের বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমি তখন ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। এখন আমি ডাক্তারের কাছে বলেছি। ডাক্তার আমার আগের ভর্তি বাতিল করে নতুন করে ভর্তি করার কথা বলেছে। আমি ধর্ষক ফরিদ ও শাহীনের বিচার চাই।ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি অপারেশন হরিদাস রায় জানান, আমরা আসামী ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে ধরতে পারবো।
মামলা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল ভুক্তভোগী ওই নারী সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের কাছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে বিচার চাইতে যায়।
ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফরিদ চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়ি হরিশংকরপুর ইউনিয়নের নরহরিদ্রা গ্রামে যান তিনি। কেউ না থাকার সুযোগে ফরিদ তাকে বাড়ির ভেতর ডেকে নিয়ে যান। আর ব্যক্তিগত গাড়িচালক শাহীনকে বলেন, বাড়িতে যেন কেউ না প্রবেশ করে।
পরে তাকে জোরপূর্বক ইয়াবা ও গাঁজা সেবনের জন্য চাপাসৃষ্টি করে চেয়ারম্যান ও শাহীন। কিন্তু এতে রাজি না হলে ওই নারীকে মারধর ও জোর করে ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করান। এক পর্যায়ে ফরিদ ও শাহীন তাকে বিকৃত যৌনচারে লিপ্ত হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। ধর্ষণের ফলে জ্ঞান হারান ভিকটিম। পরদিন সকাল ১০টার দিকে তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালেই ভর্তি আছেন ।