গাজীপুরে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলসহ দুই বন্ধুকে সারা রাত আটকে রেখে ১২ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরদ্ধে। অভিযুক্ত এএসআই শাহাদাৎ হোসেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় কর্মরত আছেন।
মোটরসাইলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে তাদের দেহ তল্লাশিসহ নানাভাবে হয়রানি ও মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখান। দুই কনস্টেবল তাদের পকেটে তল্লাশি করে দুজনের কাছ থেকে ৬ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে নেয় এবং বাড়িতে খবর দিয়ে আরো টাকা আনতে বলেন। ছেলেদের আটক করার খবর পেয়ে রাতেই মনির ও আলফাজের বাবা সেখানে ছুটে যান। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আরো ৬ হাজার টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের নস্করচালা গ্রামের দুই বন্ধু মনির হোসেন ও আলফাজ হোসেন একটি নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর সালনার মোল্লাপাড়া এলাকায় আরেক সহপাঠি বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যান। ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসন থানার নাওজোড় এলাকায় উড়াল সড়কের কাছে পৌঁছালে এএসআই শাহাদাৎ হোসেন, কনস্টেবল নোমান ও মিন্টু তাদের গতিরোধ করেন।
জানতে চাইলে বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগী আলফাজ ও মনির জানান, দুই মাস আগে কেনা নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। মোটরসাইকেল ক্রয়ের রশিদও তাদের সঙ্গে ছিল। সেটি দেখালেও পুলিশ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ১২ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।এ ব্যাপারে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে অভিযুক্ত এএসআই শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।