তাইওয়ান সফর করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। আর এই সময়টিকেই চীন সামরিক মহড়া চালানোর জন্য বেছে নেয়। শুক্রবার যখন মার্কিন প্রতিনিধিরা তাইপেতে বৈঠক করছেন তখন তাইওয়ানের আশেপাশের এলাকায় ফ্রিগেট, বোমারু এবং যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন।
দেশটির দাবি, তারা ওই এলাকায় সামরিক মহড়া করছে। একইসঙ্গে মার্কিন আইনপ্রণেতারা এ ধরনের সফর করে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে বেইজিং-এর পক্ষ থেকে। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা নিরর্থক এবং বিপজ্জনক। যারা আগুন নিয়ে খেলছে, তারা নিজেরাই এতে পুড়ে মরবে।
খবরে জানানো হয়, তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন জানাতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের এই সফরের জবাবে পূর্ব চীন সাগর ও তাইওয়ানের আসেপাশের এলাকায় ওই সামরিক মহড়া চালায় চীন। দেশটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান ইস্যুতে ঘন ঘন ভুল ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর এর জবাব দিতেই এই সামরিক মহড়া চালানো হচ্ছে।
তাইওয়ানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তারপরেও চীনের উদ্বেগ উপেক্ষা করে তাইওয়ানকে নিয়মিত অস্ত্র দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই। তাইওয়ানকে চীন তার নিজের অংশ মনে করে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরেক বিবৃতিতে বলে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সফর অত্যন্ত উস্কানিমূলক। এই পদক্ষেপ তাইওয়ান নিয়ে চলমান উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করছে।যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের ৬ আইনপ্রণেতা দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার তাইওয়ানে পৌঁছেছেন। তাদের এ সফরের কথা আগে থেকে জানানো হয়নি।
এই প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও রয়েছেন। তিনি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, তাইওয়ানকে ত্যাগ করা হবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে পরিত্যাগ করা। সিনেটর বব মেনেন্ডেজ বলেন, বিশ্বজুড়ে তাইওয়ানের গুরুত্ব রয়েছে। তাইওয়ানের নিরাপত্তা বিশ্বের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে।