অপরাধএক্সক্লুসিভঢাকামানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জ শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে সানজিদা নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

মানিকগঞ্জ শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে সানজিদা আক্তার ওরফে রূপা (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার রাত আটটার দিকে শহরের উত্তর সেওতা এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনার পর থেকে সানজিদার স্বামী শহীদুল ইসলাম পলাতক।

গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুক ও দাম্পত্য কলহের জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পরে তাঁর স্বামী পালিয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।নিহত সানজিদার ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, আজ বিকেল পাঁচটার দিকে শহীদুলের ভগ্নিপতি নাসির হোসেন তাঁকে মুঠোফোনে জানান, তাঁর বোন আত্মহত্যা করেছেন। সন্ধ্যায় এসে তাঁর বোনের লাশ ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন।

পুলিশ ও গৃহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার বছর আগে নাগরপুরের বনগ্রাম এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে শহীদুল ইসলামের সঙ্গে পাশের মাহমুদনগর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে সানজিদার বিয়ে হয়। তাঁরা মানিকগঞ্জের উত্তর সেওতা এলাকার জনৈক নূরুল ইসলামের বাসার পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। শহীদুল মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ওষুধের দোকান চালাতেন। আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই ফ্ল্যাট থেকে খাটের ওপর শোয়ানো অবস্থায় সানজিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মনিরুলের অভিযোগ, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে স্বর্ণালংকার, আসবাবসহ গৃহস্থালির জিনিস নেন শহীদুল। বিয়ের দুই বছর পর তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে সানজিদাকে মারধরও করতেন। তাঁর বোনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর খাটের ওপরে ফেলে রাখেন। পরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার প্রচার করেন।

খবর পেয়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিক তদন্ত শেষে রাত সাড়ে আটটার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ভাস্কর সাহা বলেন, ওই গৃহবধূর লাশ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ওই দম্পতির পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা খাদেজা আক্তার জানান, আজ বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে শহীদুল তাঁর কক্ষে এসে বলেন, সানজিদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর শহীদুলের সঙ্গে ওই কক্ষে গিয়ে দেখতে পান, সানজিদার লাশ খাটের ওপরে পড়ে আছে।এ ঘটনার পর থেকে শহীদুল ইসলাম পলাতক। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Back to top button