রাজধানীর ৫ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মে মাসে ২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা

রাজধানীর ৫ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মে মাসে ২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা দেওয়া হবে। সাম্প্রতিক ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব বিষয়ে বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে আজ বুধবার এসব কথা জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর আয়োজন করে।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ পর্যন্ত দেশে চারজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।সারা দেশে কেন দেওয়া হবে না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‌টিকার এখন খুব সংকট। নাইজেরিয়া থেকে টিকা কেটে আমাদের দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগে মে মাসে প্রথম ডোজ দেওয়া হবে এবং জুনে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। এক বছর বয়স থেকে সব বয়সী মানুষ কলেরার টিকা পাবে। শুধু গর্ভবতী নারীরা পাবেন না।

এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, আইসিডিডিআরবিতে এ পর্যন্ত ২৯ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানা গেছে। সরকারের দেওয়া সংখ্যার সঙ্গে আইসিডিডিআরবির সংখ্যা যুক্ত করা হয়নি কেন?জবাবে অধ্যাপক নাজমুল জানান, সরকারের প্রাথমিক থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের নানা স্তরের হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত চারজন মারা গেছে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নটি নিরাপদ পানির। সরবরাহের পানির নিরাপদ ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সমস্যা অনেক কমানো সম্ভব। পানির উৎস থেকে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার পর্যন্ত নিরাপদ না থাকলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেককে নিজ দায়িত্ব নিরাপদ করে নিতে হবে। ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মনোযোগী হতে হবে।অধ্যাপক নাজমুল জানান, কলেরার টিকা দেওয়ার জন্য মাইক্রো পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরপর সঠিক তারিখ জানানো হবে।

আজ আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম জানান, এ পর্যন্ত ২৫ জনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা আইসিডিডিআরবিতে মারা গেছে, তা নয়। গতকাল মঙ্গলবার একজনসহ মোট পাঁচজন।আইসিডিডিআরবিতে ডায়রিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।আজকের প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন ছিল, যাত্রাবাড়ীতে এত ডায়রিয়া হয় কেন?

Exit mobile version