দেশে মঙ্গলবার রাত ৯টায় সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
দেশে মঙ্গলবার রাত ৯টায় সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড হয়েছিল ১৪ হাজার ১ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ২১ লাখের বেশি বিদ্যুৎসংযোগ রয়েছে, যার আওতায় জনগণের শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এক যুগ আগে বিদ্যুৎ গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। এই মধ্যবর্তী সময়ে ২ কোটি ১৩ লাখ বিদ্যুৎসংযোগ বেড়েছে।দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিদ্যুতায়ন হয়েছে সব শহর, গ্রাম, চর, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা।
স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনগোষ্ঠীর ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছিল। এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় এসেছে। এক যুগে এ অভাবনীয় সাফল্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং মুজিববর্ষ পূর্তিতে দেশের সব নাগরিককে বিদ্যুতের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করল সরকার।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮টিতে। দেশের যেসব স্হানে গ্রিডের বিদ্যুৎ সরাসরি পৌঁছানো যায়নি সেখানে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযোগ এবং সোলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।দেশে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াটে।
এক যুগে দৈনিক ২০ হাজার ৫৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষমতা বেড়েছে। ১৩ হাজার ২১৩ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং ৬ লাখ ২১ হাজার কিলোমিটারের বিতরণ লাইনের মাধ্যমে দেশ জুড়ে এ বিদ্যুৎসেবা পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশের বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষমতা গত ১২ বছরে পাঁচ গুণ বেড়েছে।
ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎসহ দেশে এখন উত্পাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। আরো ১৩ হাজার ২১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন অবস্হায় আছে। ভারত থেকে বর্তমানে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।