পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের বেশ কিছু এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে
পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ উপলক্ষে নগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তাসহ সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থার আওতায় থাকবে। ফলে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
রাজধানীতে বর্ষবরণের মূল আয়োজন হয় রমনা বটমূলে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর এসব আয়োজন বন্ধ ছিল। এ বছর আবারও বৈশাখ আয়োজনে পুরোনো রূপে ফিরবে রাজধানী।
বর্ষবরণের উৎসবের এ দিনটি ঘিরে রাজধানীর রমনা বটমূল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ, চারুকলা ইনস্টিটিউট, ঢাবি ক্যাম্পাস, বাংলা একাডেমি, দোয়েল চত্বর, শিশু একাডেমি, হাইকোর্টসহ আশেপাশের এলাকায় জনসমাগমকে কেন্দ্র করে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নগরবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে রাজধানীর বাংলামোটর-হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-কাকরাইল-মৎস্য ভবন- প্রেসক্লাবসংলগ্ন কদম ফোয়ারা, মৎস্য ভবন-শাহবাগ-কাটাবন, পলাশী-শহীদ মিনার-দোয়েল চত্বর-হাইকোর্ট ক্রসিং, বকশীবাজার-শহীদ মিনার-টিএসসি, শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং-দোয়েল চত্বর ও নীলক্ষেত-টিএসসি এসব রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ সময় ভোগান্তি এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো মিরপুর রোড-সায়েন্সল্যাব-নিউমার্কেট-আজিমপুর-বকশীবাজার-চাঁনখানপুর-গুলিস্তান, রাসেল স্কয়ার-সোনারগাঁও-রেইনবো-মগবাজার-মালিবাগ-রাজমণি-ইউবিএল-গুলিস্তান, মহাখালী-সাতরাস্তা- মগবাজার-কাকরাইল-রাজমণী-ইউবিএল-গুলিস্তান, ফার্মগেট-সোনারগাঁও-বাংলামোটর-মৌচাক-মালিবাগ-খিলগাঁও, ফার্মগেট-সোনারগাঁও-বাংলামোটর-মগবাজার-কাকরাইল চার্চ-রাজমণি-নাইটেঙ্গেল-পল্টন-মতিঝিল, কাঁটাবন-হাতিরপুল-বাংলামোটর, সোনারগাঁও-ফার্মগেট এবং কাটাবন, হাতিরপুল-বাংলামোটর-মগবাজার-কাকরাইল-রাজমণি ক্রসিং-গুলিস্তান-মতিঝিল।
এ দিকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষবরণে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার একটু ভিন্নতা থাকবে। সেটি হলো, মেলায় পান্তা-ইলিশ ও খাবারের দোকান থাকবে না।
অনুষ্ঠানটি সীমিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দুপুর ১টার পরে আর কেউরে রমনা ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’এ ছাড়া আগত দর্শনার্থীদের দ্রুত ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে দুপুর ২টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি প্রধান।