ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার ভোর থেকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। সে কারণে লাঙ্গলবন্দ সেতুর দুই পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট না থাকলেও আজ ভোর ৫টা থেকে মহাসড়কের দুই পাশে ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী হানিফ পরিবহনের চালক নজরুল ইসলাম জানান, সকাল ছয়টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চার ঘণ্টায় মদনপুর এসেছেন তিনি। যানজট না থাকলে অন্য সময়ে ৩০ মিনিটে এ স্থানে আসতে পারতেন বলে জানান তিনি।
স্নানোৎসবে আসা পুণ্যার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে লাঙ্গলবন্দ সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে ব্রহ্মপুত্র নদে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টা ১১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে স্নানোৎসবের লগ্ন শুরু হয়। আজ (৯ এপ্রিল) রাত ১১টা ৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে স্নানোৎসব শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল রাতে লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাপমুক্তির বাসনায় স্নানোৎসবে যোগ দিতে পুণ্যার্থীরা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এসে ভিড় জমান।
কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা গাজীপুরগামী একটি ট্রাকের চালক আলী হোসেন জানান, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ভবেরচর থেকে যানজট শুরু হয়েছে। দুই ঘণ্টায় সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এসে পৌঁছেছেন তিনি।এ দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও মোগরাপাড়া, নবীগঞ্জ, কাইকারটেক, লাঙ্গলবন্দ, মদনগঞ্জ, মদনপুর ও বারদি, অলিপুরা এসব আঞ্চলিক সড়কে আজ ভোর থেকে যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, সকাল থেকে মহাসড়কের অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে যানজট দূর করার জন্য।সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান করে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পুণ্যার্থীরা যানজটে বসে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ঢাকার সাভার থেকে আসা বর্ষা রানী দাস (৬১) বলেন, ‘অন্য কোনো বছর এত দুর্ভোগ হয়নি। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’