অপরাধআইন-আদালতসিলেট

সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাদ্রাসা শিক্ষকের বেশে ৫ বছর, করেছেন ইমামতি

ময়মনসিংহে তিন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আল আমীন ওরফে রায়হান (৪৫)। গত ৫ বছর ধরে সিলেটে আত্মগোপন করে ছিলেন তিনি। শুধু আত্মগোপনেই নয়, বড় হুজুরের বেশ নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলেন ইমামতি এবং মাদ্রাসায় শিক্ষকতা।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।আজ রোববার কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত ভট্টাচার্য এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ জানতে পারে, আল আমীন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে বসবাস করছেন। সেখানে গত ৫ বছর ধরে বাহাদুরপুর গ্রামের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও শরাফত জামে মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।

এমন খবর পেয়ে গত শুক্রবার বাহাদুরপুর গ্রামের শরাফত জামে মসজিদে মুসল্লি সেজে নামাজ পড়া শেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর শনিবার বিকেলে তাঁকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের আব্দুল মজিদ ওরফে মোতালেবের ছেলে তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় আরও প্রতারণার মামলা রয়েছে। গত ৫ বছর যাবৎ তিনি পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকা অবস্থায় ২০১৮ ও ২০২০ সালের তিনটি চেক জালিয়াতি মামলায় আদালত তাঁকে সাজা দেন।

Back to top button