নীলফামারীর ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে দিনের বেলায় নিজের চেম্বারের টেবিলের ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে সহকারী স্টেশনমাস্টার মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে তাঁকে টেবিলের ওপর ঘুমাতে দেখেছেন অনেকে।
টিকিট নিতে আসা সফিকুল ইসলাম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বিকেলে স্টেশনে এসে দেখি স্টেশনমাস্টারের চেম্বারের টেবিলে ওপর একজন ঘুমিয়ে আছেন। আর স্টেশনের কাউকে খুঁজে পাই নাই।’ স্থানীয় সংবাদকর্মী রতন রায় বলেন, ‘একজন কর্মকর্তা কীভাবে দিনের বেলায় নিজের চেম্বারের টেবিলের ওপর ঘুমাতে পারে, তা আমার বুঝে আসে না।’
গত কয়েক দিন থেকে এ স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করছেন এলাকাবাসী। এতে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী সিহাব হোসেনকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে। এ ছাড়া কালোবাজারি চক্রের ৬ জনের নামে মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সহকারী স্টেশনমাস্টার মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘দুপুরে খাবার পর বিশ্রাম নিয়েছিলাম।’ টেবিলের ওপর ঘুমানো ঠিক করেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।এ বিষয়ে স্টেশনমাস্টার মাসুদ রানাকে স্টেশনে পাওয়া না যাওয়ায়, তাঁর মোবাইল ফোনে বারবার কল করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।