ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক গৃহবধূর (২৫) হাত-মুখ বেঁধে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলার নাসিরাবাদ ইউয়িনের আলেখারকান্দা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার এসআই মো. তাহসিন জানান, ওই গৃহবধূকে ভাঙ্গা থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। সোমবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জবানবন্দি নেওয়ার জন্য ফরিদপুর কোর্টে প্রেরণ করা হবে। অভিযুক্তদের খুব শিগগির গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গছে, ওই গৃহবধূর স্বামী গত ৪ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকেই ২ ছেলে-মেয়ে নিয়ে তিনি তার বাবার বাড়ি খাকান্দা গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৮ মার্চ বিকেলে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি আলেখারকান্দা গ্রামের তার এক চাচাশ্বশুর লুৎফর রহমানের কাছে যায় তার কিছু পাওনা টাকা আনার জন্য।
সেখানে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে ওই গৃহবধূ তার শ্বশুরবাড়ির পরিচিত আসাদুল ও আলামিনকে সঙ্গে নিয়ে নিজের বাড়িতে রওয়া হয়। পথিমধ্যে তারা আলেখারকান্দা আউড়াবাগ বাগানের কাছে পৌঁছালে প্রায় ৪/৫ জন যুবক তাদের পথ গতিরোধ করে।
এ সময় স্থানীয় রুবেল, শাহীন, সজিব, রাকিব, হাসিবুল ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে আসাদুল ও আলামিনকে মারধর করে এবং ওই গৃহবধূর হাত ও মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূকে রাতভর ধর্ষণ চালায় ওই পাঁচ যুবক। সকালে সেখান থেকে তার বাবার বাড়ি ফিরে সে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে।