পুরাতন প্লাস্টিক পণ্যের রিসাইকেলিং ব্যবসার আইডিয়া

নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন ব্যবসা। প্লাস্টিক শিল্প একটি সম্ভাবনার নাম।পুরোনো পাইপ, কাটিং পাইপ, ওয়েস্টেজ প্লাস্টিক সামগ্রীসহ, খালি প্লাস্টিকের বোতল এখন আর ফেলে দেওয়ার নয়। এর যথেষ্ট চাহিদা ও দাম রয়েছে।

এসব পণ্যের চাহিদা সব সময় থাকে। সব শ্রেণির মানুষ ঘর সাজাতে প্লাস্টিকের বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনে থাকে। গ্রাম কিংবা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির সুযোগ রয়েছে। দাম কম; টেকসইও। ঝুড়ি, প্লেট, জগ, মগ, চেয়ার, বালতি, চামচ, টেবিল, হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিক ক্লিপ, বোতাম, বিভিন্ন ধরনের বোতল।

খেলনা বিশেষ করে বল, পুতুল, গাড়ি, পিস্তল প্রভৃতি; পোশাক খাতের সরঞ্জাম, গৃহনির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ, পোলট্রি ও মৎস্য খাতের বিভিন্ন পণ্য এবং কম্পিউটারের উপকরণ হিসেবে প্লাস্টিক পণ্য তৈরি হচ্ছে। অফিসে ব্যবহারের জন্য পেপারওয়েট, স্কেল, বলপেন, ফাইল কভার, সাইকেলের যন্ত্রাংশের মধ্যে বাম্পার, হাতলের কভার, লাইট প্রভৃতি তৈরি হচ্ছে। 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারিক পণ্য প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা। প্লাস্টিকের পণ্যগুলো দানা করে রফতানি হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা হচ্ছে। এ ব্যবসায় কম পুঁজিতে লাভ তুলনামূলক বেশি। সাশ্রয়ী, সহজে ব্যবহারযোগ্য, কম ঝুঁকি, নজরকাড়া নকশা, টেকসই প্রভৃতি কারণে আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গী প্লাস্টিক সামগ্রী।

প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন ঘটছে এর। যদিও ব্যবহার হয়ে যাওয়া প্লাস্টিক পণ্য রাস্তায় পড়ে থাকে। তবে এই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকই খুলে দিয়েছে নতুন ব্যবসার ধারণা। আমাদের দেশে সাদা, লাল ও সবুজ রঙের প্লাস্টিক বোতল রিসাইক্লিং করা হয়।তুলনামূলক কম পুঁজি লাগে, সহজে নষ্ট হয় না। আগুন থেকে প্লাস্টিক পণ্যগুলো দূরে রাখতে হবে।

বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফেরিওয়ালারা ব্যবহৃত প্লাস্টিক সামগ্রী সংগ্রহ করেন। রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা পণ্য সংগ্রহ করেন।ভাঙারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেজি হিসেবে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারেন। কেনার পর রঙভেদে আলাদা করুন পণ্যগুলো। পরে রিসাইক্লিং করুন। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, ইসলামবাগে অনেক রিসাইক্লিং কারখানা রয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন শহরে ছোট-বড় মিলিয়ে অনেক রিসাইক্লিং কারখানা গড়ে উঠেছে।

তিন লাখ থেকে সাত লাখ টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন।প্রাথমিক অবস্থায় দেশি মেশিন দিয়ে ব্যবসা শুরু করা ভালো। একটি সিঙ্গেল ইউনিটের মেশিন খরচ বাবদ তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হবে। ক্রাশার মেশিন এক লাখ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার, গ্রাইন্ডিং মেশিন ৩০ থেকে ৪০ হাজার, ওয়াশিং মেশিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার, হাইড্রো মেশিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার, ব্যাগ সিলিং মেশিন পাঁচ থেকে আট হাজার টাকায় কেনা যাবে। বিদেশি মেশিন কিনলে খরচ বেশি পড়বে।

Exit mobile version