শনিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত হাসপাতালে নতুন করে আরও ৬৯৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন। আইসিডিডিআর,বির মিডিয়া বিভাগ সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শনিরআখড়া, মোহাম্মদপুর, টঙ্গী ও উত্তরা থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি আসছে। আগের দুই দিনে হাসপাতালটিতে দুই হাজার ৪০৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় গত কয়েকদিনে মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালটির তথ্য মতে, শুক্রবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১৩৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এক হাজার ১৭৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আইসিডিডিআর,বি-তে ভর্তি হন। এর আগের দিন রাত পর্যন্ত এক হাজার ২৩৩ জন রোগী ভর্তি হন।।
গরমের শুরুতে ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এ অবস্থায় গত কয়েকদিনে রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে রেকর্ড সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তব্যরতরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, হঠাৎ করে গরম চলে আসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কারণে শিক্ষার্থীদের বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় গ্রহণ এবং অনিরাপদ পানির কারণে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে গেছে।হাসপাতালে ভর্তি এক নির্মাণ শ্রমিক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর পথের ধারের একটি দোকান থেকে শরবত কিনে খেয়েছিলেন। দুপুর থেকেই তার পেট ব্যথা এবং পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পাতলা পায়খানা কোনোভাবেই না কমায় রাতে কলেরা হাসপাতালে চলে আসেন। তখন তাকে ভর্তি করে নেয়া হয়।