নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় একটি গাড়ি থেকে এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বনপাড়া বাইপাস এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেছে বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ।
এ বিষয়ে বনপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ রাশেদুল ইসলাম বলেন, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের বনপাড়া বাইপাস এলাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ সচিবালয়, যানবাহন প্রবেশপত্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ লেখা স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় ওই গাড়ি আটক করে তল্লাশি চালালে গাড়ির ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়।
নিহত ব্যক্তির নাম হজরত আলী (৪৫)। তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকার তাজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি পাটগুদামের কর্মচারী। আটক গাড়িচালকের নাম মিজানুর রহমান (৪১)। তিনিই মূলত ওই পাটগুদামের মালিক। মিজানুর মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমতৈইল গ্রামের মৃত গোলাম হায়দারের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বড়াইগ্রাম সার্কেল শরীফ আল রাজিব বলেন, নিহত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত পড়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হজরত আলীর লাশ গুম করার জন্য মিজানুর রহমান গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন। মিজানুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরও রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে। এ ব্যাপারে গাজীপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর পুলিশকে জানিয়েছে, হজরত আলী তাঁর গুদামের কর্মচারী। তবে হজরত আলীর খারাপ আচরণের জন্য গতকাল সোমবার সকালে তিনি তাঁকে বাড়িতে ডেকে নেন। ওই সময় তিনি হজরত আলীকে চড়থাপ্পড় দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
মিজানুর দাবি করেন, এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর তিনি গুদামে গিয়ে দেখেন, হজরত আলী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রংপুরে হজরত আলীর বাড়িতে লাশ পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি গাড়িতে লাশ নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন।