গা শিউরে উঠার মতো খবর। খবরটি শুনে কারো মাথা ঠিক থাকার কথা নয়। তবু খবর তো খবরই। মানুষের মধ্যে পিশাচ কিভাবে জাগ্রত হচ্ছে তা এই খবরটিই বলে দেয়। ঘটনাটি ভারতের পুনের। সেখানে মাত্র ১১ বছর বয়সী একটি বালিকাকে তার পিতা, ভাই, চাচা ও দাদা ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন করেছে বলে মামলা হয়েছে। অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে এসব অভিভাবককে ঘৃণা জানানোর মতো ভাষা নেই। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
পুনে শহরের বান্দগার্ডেন পুলিশ স্টেশনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারার অধীনে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। ওই বালিকার দাদার বয়স ৬০ বছর। দূর সম্পর্কের ওই চাচার বয়স ২৫ বছর। তাদের বিরুদ্ধে আলাদা একটি ধারায় মামলা হয়েছে।
নির্যাতিত এই বালিকা ও তার পরিবারের সদস্যরা বিহার থেকে পুনেতে গিয়েছে। সেখানেই তাদের বর্তমান বসবাস। যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে যখন স্কুলে ‘গুড টাচ অ্যান্ড ব্যাড টাচ’ বিষয়ক একটি সেশন হচ্ছিল তখন। সেখানেই ওই বালিকা বলে ফেলে এই ঘটনা।
মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। বলা হয়েছে, এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে গত ৫ বছর ধরে। ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়ে বলছে, ওই বালিকা ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। বলেছে, আলাদাভাবে তাকে তার টিনেজ ভাই ধর্ষণ করেছে। তাদের পিতা, দাদা ও দূর সম্পর্কের এক চাচা তাকে যৌন নির্যাতন করেছে। পুনে পুলিশ এ মামলা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে শনিবার।
মেয়েটি জানিয়েছে ২০১৭ সাল থেকে তার ওপর যৌন নির্যাতন শুরু করে তার পিতা। পুলিশ ইন্সপেক্টর অশ্বিনী সাতপুত বলেছেন, ওই সময় মেয়েটির পরিবার বসবাস করতো বিহারে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের নভেম্বরে তার ওপর যৌন নির্যাতন শুরু করে তার বড়ভাই। তার দাদা ও দূর সম্পর্কের ওই চাচা তাকে অনভিপ্রেতভাবে স্পর্শ করা শুরু করে। এরপর থেকে প্রতিটি ঘটনা ঘটতে থাকে আলাদাভাবে। অভিযুক্তরা একজন অন্যজন সম্পর্কে জানতো না। তাই এটা কোনো গণধর্ষণের ঘটনা নয়।