আধুনিক পেশা হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং
প্রাথমিকভাবে অনলাইনে আপনার ক্লায়েন্ট অথবা আপনার ব্যবসার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ড্রাইভ থেকে শুরু করে সেল জেনারেট হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অনেকগুলি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যার প্রতিটিকে যদি আপনি গুরুত্বের সাথে নিজের মার্কেটিং পলিসিতে ব্যবহার করতে পারেন তবে আপনি সফলতার পথে অনেক এগিয়ে যাবেন। চলুন ব্যাপারটিকে আরেকটু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
কন্টেন্ট রাইটিং, মার্কেটি, এসইও, লিংক বিল্ডিং ইত্যাদি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের এক-একটি সাবসেক্টর। একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আপনাকে এসমস্ত কাজ শিখে তবেই সার্ভিস সেল করতে নামতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংকে আবার দুইভাবে ভাগ করা যায়। একটি হলো ফ্রি মার্কেটিং, আরেকটি হলো পেইড মার্কেটিং।
আপনি যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা সমূহকে গ্রাহক পর্যায়ে নিয়ে যাবেন ঠিক তখনই সেটি ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে পরিগণিত হবে৷ অফলাইনে যেমন আপনাকে সেল জেনারেট করতে হলে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগ করতে হয়, তেমনি অনলাইন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে। যাকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রসেসও বলতে পারেন।
পেইড মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং সহজ করে তুলেছে পেইড মার্কেটিং ব্যবস্থা। এই ক্ষেত্রে খুবই কম সময়ে আপনি পেইড টুলস দ্বারা কাঙ্খিত ফল পেতে পারেন, যেটা ফ্রীতে অনেক সময় লেগে যায়, ধরুন আপনি আমেরিকার এক হাজার হোটেল ব্যবসায়ীর ইমেইল আইডি চান, পেইড টুলের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবস্থা করতে পারবেন, কিন্তু ফ্রিতে আপনার এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তাই প্রিমিয়াম কাজের জন্য সবাই পেইড টুলসের দ্বারা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করে।
ফ্রি মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ও সার্চ ইঞ্জিনকে ব্যবহার করে আপনি কোনো টাকা খরচ ছাড়াই ফ্রীতে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজ গুলো করতে হবে, কারণ ফ্রীতে অনেককিছুরই লিমিটেশন রয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের পরিধি কেমন এবং কত টাকা আয় করতে পারবেন?
ব্যাপকতার দিক দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের পরিধির পরিমাণ বেশ বড়সড়! কেননা আজকাল সকলেই অনলাইন মার্কেটিংয়ের দিকে ঝুঁকছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই এই অনলাইনকে প্রাধান্য দিচ্ছেন কেনা-বেচার ক্ষেত্রে। এদিক দিয়ে প্রয়োজন একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার। যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জের বিনিময়ে ক্লায়েন্টের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সেল জেনারেট হতে সাহায্য করবে৷
ডিজিটাল মার্কেটিং করে একজন ডিজিটাল মার্কেটার মাসে কত টাকা আয় করতে পারবে তা নির্ভর করবে তার কাজের কোয়ালিটি এবং কাজের পরিমাণের উপর। পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর যেহেতু অনেক বড় সেহেতু বিভিন্ন সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে এই ক্ষেত্রটি। আবার সেই সাব-সেক্টরগুলির কাজেরও রয়েছে আলাদা আলাদা প্রাইসিং। তবে হ্যাঁ! যারা নিজেকে সঠিকভাবে সফল ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে, তাদের প্রতি মাসে লাখ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হতে হবে না৷
ডিজিটাল মার্কেটিং কোথায় শিখবেন?
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে আপনারর প্রবল আগ্রহের পাশাপাশি দরকার পড়বে সঠিক গাইডলাইনের। এক্ষেত্রে করতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স। এই পর্যায়ে আমরা জানবো ডিজিটাল মার্কেটি কোথায় শিখবেন বা কোথায় এর পরিপূর্ণ গাইডলাইন পাবেন সে সম্পর্কে। চলুন শুরু করা যাক।
ডিজিটাল মার্কেটি শেখার সেক্টরকে প্রাথমিকভাবে ২ ভাগে ভাগ করার চেষ্টা করছি। যাতে আপনারা বুঝতে পারেন কোন কোর্সের সেক্টরটি আপনার জন্য প্রযোজ্য এবং কোন কোর্সের সেক্টরটি আপনাকে সঠিকভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা কয়েকটি প্লাটফর্ম
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রটি বিশাল। অডিয়েন্সের কাজে পৌঁছাতে এই লম্বা পলিসিকে যদি আমরা কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ফেলি তবে ব্যাপারটি খুবই সহজ হবে। এক্ষেত্রে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেরা কয়েকটি প্লাটফর্ম সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। প্ল্যাটফর্মগুলি হলো:
- Search Engine Optimization (SEO)
- Search Engine Marketing (SEM)
- Social Media Marketing (SMM)
- Content Marketing
- Pay-Per-Click (PPC)
- CPA Marketing
- Digital Display Marketing
- Email Marketing
- Affiliate Marketing