শরীয়তপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় শরীয়তপুর পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড চরপালং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রী এবং অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম উভয়ই শরীয়তপুর আলিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী সোমবার কাকলীর বিয়ে। বৃহস্পতিবার কাকলি নিজ ঘরে মোবাইলে কথা বলছিলেন। হঠাৎ জাহিদুল ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধারাল ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।তার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন গিয়ে কাকলীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কাকলীকে ঢাকায় প্রেরণ করেন।
সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী কাকলী পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ড চরপালং এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুরের জাগির গ্রামে। ১০ বছর ধরে তিনি শরীয়তপুর পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের কারাভোগ গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
অভিযুক্ত জাহিদুলকে কাকলীর পরিবারের ও আশেপাশের লোকজন আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পালং মডেল থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।