সুবাহ বিয়ের সময় কুমারী উল্লেখ করে আমাকে প্রতারণা করেছেঃ ইলিয়াস
নবাগত চিত্রনায়িকা শাহ হুমায়রা সুবাহকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন। বিয়ের কিছুদিন পরই সুবহা যৌতুকের দাবিসহ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। ইলিয়াসও একইভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সুবাহর বিরুদ্ধে।
ইলিয়াস বলেন, ‘সুবাহ ২০১৪ সালে ৬ মাসের কারাভোগ করেছে। সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল, সেই রিপোর্টও আসছে আমার হাতে। ২০১৭ সালে আরেকজনের নামেও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছে সুবাহ। এখানেই প্রমাণ হয় যে, সে এটাকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে।’
বুধবার এসব বিষয়ে নিয়ে ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন ইলিয়াস। সেখানে তিনি বলেন, ‘এর আগেও সুবাহর একটি বিয়ে হয়েছিল। এরপরেও আমাকে বিয়ের সময় কাবিননামায় সুবাহ নিজেকে কুমারি উল্লেখ করেছে। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’ইলিয়াসের নামে যে মামলা করা হয়েছে, ঠিক একই ভাবে ২০১৭ সালে মো. নোমান সরকার, মো. মাহফুজার রহমান লিখন, মো. আল ইমরানের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন সুবাহ।
ইলিয়াসের সঙ্গে সুবাহর বিয়ের কাবিন হয় ৭,৭৭,৭৭৭ (সাত লক্ষ সাতাত্তর হাজার সাতশত সাতাত্তর) টাকা। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় সুবাহ বলেন, ‘আমার দেনমোহর আমি পাই সেটা আমাকে দিয়ে দেবে। এটার জন্য যতটুকু যাওয়ার আমি যাবো।’
সুবাহর করা মামলার কপি দেখিয়ে সুবাহ’র বিবরণী তুলে ধরেন ইলিয়াস। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাকে (সুবাহ) ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক করে তা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখা হয়। পরে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। সেখানে সাক্ষী হিসেবে সুবাহ’র স্বামীর নাম লেখা ছিল মো. ইয়াসির আরাফাত।
এই বিষয়ে ইলিয়াস বলেন, ‘ওই মামলায় সুবাহ নিজেই উল্লেখ করেছে সে বিবাহিত। কিন্তু সে সংবাদমাধ্যমকে বলেছে কাবিননামা দেখাতে, আমি অবশ্যই কাবিননামা দেখাবো। এখন দুটি বিষয়- একটি, সুবাহ যদি বলে সে বিবাহিত না, তাহলে সে আগের ওই মামলাটিতে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তার ওই মামলাটি ছিল ভুয়া। তার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা। আর যদি বলে বিয়ে করছে, তাহলে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে কুমারি উল্লেখ করে। সেটার জন্য একটা প্রতারণা মামলা হবে।’
ইলিয়াস বলেন, ‘দেনমোহর দুইবার দিয়েছি। আবার দিতাম, টাকাই যেহেতু তার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু সেটা দেওয়ার মতো জায়গা সে রাখে নাই। আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা কথা ছড়িয়েছে। তার ধারণা, আমি হয়তো তার কাছে ফিরে যাবো। সে গতকালকেও আমাকে তার কাছে ফেরার জন্য মেসেজ দিয়েছে।’
এছাড়াও ইলিয়াস বলেন, ‘যে অপরাধী তার বিচার দুদিন আগে আর পরে হবেই। আমি যদি অপরাধী হয়ে থাকি, তাহলে আমার বিচার হোক সেটাই চাইবো। সর্বোপরি বলেতে চাই, আমি নিরপরাধ, আমাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করা হয়েছে। সেটা আইনিভাবেই একদিন প্রমাণ হবে।’