রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তাঁরা জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এ সময় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অন্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর নাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।পরে মাজার প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মাজার প্রাঙ্গণে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান।পরে প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর টুঙ্গিপাড়ায় যান। কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি সারা দেশে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চের পর প্রথমবারের মতো সশরীর টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন।রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মাজারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।