অপরাধআইন-আদালতকক্সবাজারবাংলাদেশ

আদালতপাড়া থেকে তুলে নিয়ে এক নারীকে গণধর্ষণ

কক্সবাজার শহরের আদালতপাড়া থেকে তুলে নিয়ে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় এ মামলা রেকর্ড হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস।

ওসি শেখ মুনীর বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা পাঁচজনসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

মামলার এজাহারে ওই নারী বলেন, আসামি ফিরোজ আহমদ ও মো. শরীফ বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিতো প্রতিনিয়ত। সর্বশেষ সোমবার বেলা ২টার দিকে কক্সবাজার আদালত পাড়ার মসজিদ মার্কেটস্থ এডভোকেট একরামুল হুদার চেম্বার থেকে বের হলে আসামিরা তাকে ঘিরে ফেলে।

আসামিরা হলো- ইসলামপুর ফকিরা বাজারের ফিরোজ (৪৮), পোকখালী গোমাতলী এলাকার রাসেল উদ্দিন (৩৭), নাপিতখালী গ্রামের মো. শরিফ (৪৬) এবং নুরুল ইসলাম (৪৮)।একপর্যায়ে অভিযুক্ত ফিরোজ ও শরীফ টানাহেঁচড়া করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও কয়েকজন এসে আমার হাত-পা ও মুখ চেপে ধরে জোর করে একটি নোহা গাড়িতে তুলে।

এ সময় পথচারীরা এগিয়ে এলে গাড়ি নিয়ে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া ল্যাবরেটরি স্কুল সংলগ্ন ফিরোজের আত্মীয় জনৈক ফজল কাদেরের সেমিপাকা টিনশেড বাসায় নিয়ে একটি রুমে আটকে রাখে।সেখানে ফিরোজ ও শরীফ ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন এবং সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের ধর্ষণের পর অভিযুক্ত নুরুল ইসলামও ধর্ষণে যুক্ত হন।

একপর্যায়ে ফ্লোরে ঢলে পড়েন ধর্ষিতা। এমন সময় ঘরে প্রবেশ করে রাসেল উদ্দিন। নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে বিষয়টি কাউকে জানালে এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে মানবপাচার মামলায় চালান করে দিবে বলে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে রাসেল উদ্দিনও তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে রাসেল ও শরীফ তাকে টানাহেঁচড়া করে গেইটের বাইরে ফেলে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। ধর্ষিতাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে এক ব্যক্তি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’ এ কল দিলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

Back to top button