জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী বলেন, ‘বাস মালিক নোমানের বউ আমার এলাকার এক ছেলের সাথে চলে গিয়েছিল।পরে সে আমাকে বলেছিল, তার বউকে তার কাছে এনে দিতে পারলে আমাকে বাইক, কক্সবাজারের এয়ার টিকিট, আমার গার্লফ্রেন্ডকে স্বর্ণের চেইন ও চার দিন থাকা-খাওয়ার খরচসহ আরো টাকা দেবে। পরে আমি নোমানের বউকে কৌশলে তার কাছে এনে দিছিলাম।
তারপর ২০ দিন নতুন করে ঘর-সংসার করে নোমানের বউ আবার নোমানকে ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমার কাজের পাওনা আমাকে দিতে হবে। নোমান টাকা না দিয়ে পালিয়ে যাওয়াতে তাকে আর খুঁজে পাইনি। তারপর তাকে না পাওয়ায় তার গাড়ি আটকে রেখেছি। নোমান টাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাক।
বাস মালিকের বউ উদ্ধার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আড়াই লক্ষ টাকা না পাওয়ায় এফ.আর হিমাচল পরিবহনের একটি এসি বাস আটকে রেখেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী। এর আগে গত ৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ বাসটি পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকা থেকে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আটকে রাখা হয়। তবে বাস আটকে রাখার ৯ দিন পর আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের মধ্যস্থতায় বাসটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এফ.আর পরিবহনের এমডি নোমান বলেন, ‘তাঁতীবাজার মোড় থেকে কোনো কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আমার গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় গেটে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মেহেদী নামের একজন আমার কাছে আড়াই লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া হবে না বলে জানায়। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তাকে বলি আপনি আমার কাছে টাকা পান এমন কোনো প্রমাণ যদি দেখাতে পারেন তাহলে আমি আপনাকে ডাবল টাকা দেব। তখন সে আমাকে বলে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আকতার হোসেনের সবচেয়ে কাছের লোক। আমাকে কেউ কিছু করার ক্ষমতা নেই। টাকা না দিয়ে যদি এই নিয়ে বাড়াবাড়ি বা থানায় অভিযোগ করি তাহলে আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। ’