ময়মনসিংহে বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
সড়কে পড়ে আছে মেয়ের লাশ। পাশে আর্তনাদ করছিলেন বাবা। আশপাশে জড়ো হওয়া মানুষেরা সে দৃশ্য দেখছিলেন। কেউ ভিডিও করছিলেন মুঠোফোনে।আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরের ব্যস্ততম স্বদেশী বাজার এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। নিহত মেয়েটির নাম সৃজা ধর। সে ময়মনসিংহ নগরের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নগরীর ব্যস্ততম এলাকা স্বদেশী বাজার মোড়ে রাইট পয়েন্ট নামের একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে স্কুলছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে। নিহতের নাম অর্ক প্রিয়া ধর শ্রীজা (১৫)। রোববার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমানের কথা উল্লেখ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়।
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন, সৃজা আজ রোববার ও গতকাল শনিবার স্কুলে যায়নি। তবে সে স্বাভাবিকভাবে স্কুলে হাসি-খুশি থাকত। পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে তার খুব আগ্রহ ছিল।সৃজা ধরের বাবার নাম স্বপন ধর। তিনি ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের অধ্যাপক। তিনি একজন ছড়াকার ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক হিসেবে ময়মনসিংহে পরিচিত।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্রীজা ধরের খালা রাইট পয়েন্ট ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় থাকেন। এদিন সকালে খালার বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু তার খালার বাসায় না গিয়ে ওই ভবনের ছাদে উঠে পড়ে। সেখান থেকে দুপুর ২টার দিকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ ছাদ থেকে তার একটি ব্যাগ জব্দ করেছে।
ওসি আরও জানান, বাবা-মা ও ভাইয়ের প্রতি নানা অভিযোগ ও অভিমান থেকেই গত তিন বছর ধরে আত্মহত্যার পথ খুঁজছিলো অর্ক প্রিয়া ধর শ্রীজা। গত দু’দিন সে স্কুলেও যায়নি। শনিবার তার মা’র সঙ্গে কিছু কথা-কাটাকাটিও হয়।প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, স্বদেশী বাজারের যে ভবন থেকে সৃজাকে পড়তে দেখা যায়, সেই ভবনটি ১২তলা বিশিষ্ট। সৃজার পড়ে যাওয়ার সময় কোনো চিৎকার বা আর্তনাদ শোনেনি কেউ।