ইরাকের কুর্দিশ অঞ্চলের রাজধানী ইরবিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ রোববার শহরটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে জানিয়েছে কুর্দিশ কর্তৃপক্ষ। হামলার শিকার হয়েছে ইরবিলে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেটের নতুন ভবনও। এ ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।
এ বিষয়ে ইরাকের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার জন্য কোনো পক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার সময় এখনো আসেনি। তবে প্রাথমিকভাবে হাতে আসা নানা প্রতিবেদন বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্বল্পপাল্লার এবং সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে।
কুর্দিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় নানা স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হলেও, কেই নিহত হননি। তবে বেসামরিক এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। অন্যদিকে এ হামলাকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরবিলে কোনো মার্কিন আহত হননি। তাঁদের কোনো স্থাপনাও ক্ষতির মুখে পড়েনি।ইরবিলে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ জোগাড় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ইরাকি কর্মকর্তা। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইরানে তৈরি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ইরাক ও প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় অবস্থান করা মার্কিন সেনাদের ওপর প্রায়ই হামলা চালিয়ে আসছে ইরানপন্থী শিয়া যোদ্ধারা। বিমান হামলা করে এর পাল্টা জবাবও দেয় ওয়াশিংটন। এ ধারাবাহিকতায় ইরবিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন সেনাদের ওপর আগেও রকেট ও ড্রোন হামলা (চালকবিহীন বোমারুবিমান) চালানো হয়েছে। তবে গত কয়েক মাসে এমন ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে হামলার দায় এখনো কোনো পক্ষ স্বীকার করেনি। ইরানের দিকে অভিযোগের তির ছোড়া মার্কিন কর্মকর্তাও খোলাসা করে কিছু বলেননি। ইরানও এখন পর্যন্ত চুপ রয়েছে। তবে ইরাকে কর্মরত ইরানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেলের একজন সংবাদদাতা জানান, হামলাগুলো ইরবিলে অবস্থিত ইসরায়েলের গোপন ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।