ঘটনাটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের। সেখানে এক নারী তার স্বামীর মাথা বিচ্ছিন্ন করে বাড়ির মন্দিরে সাজিয়ে রেখে দেন। এই বিভৎস ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় ওই নারী তার ৫০ বছর বয়স্ক স্বামীর মাথা বিচ্ছিন্ন করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় খোয়াইয়ের ইন্দিরা কলোনির গ্রামের বাড়ি থেকে ৪২ বছর বয়সী ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সেখানে তার দিনমজুর স্বামী রবীন্দ্র তাঁতি ও তাদের দুই শিশু ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খোয়াইয়ের পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের এখনো কোনো সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে দম্পতির বড় ছেলে দাবি করছেন, সম্প্রতি তার মা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আর এজন্য স্থানীয়ভাবে তার গ্রাম্য চিকিৎসা চলছিল।
পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ এখন খোয়াইয়ের ইন্দিরা কলোনি গ্রামের বাড়ি থেকে ৪২ বছর বয়সী মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে।নিহত রবীন্দ্র তাঁতী দিনমজুরের কাজ করতেন বলে জানা গেছে।এই দম্পতি তাদের দুই নাবালক ছেলেকে নিয়ে থাকেন।
গ্রেপ্তারকৃত ঐ নারীর ছেলে বলেছে যে তার মা নিরামিষাশী ছিলেন কিন্তু তিনি গতকাল রাতে মুরগি খেয়েছিলেন এবং তার পরে তারা সবাই ঘুমাতে যান।হঠাৎ রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাবার শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। আমার মাকে রক্তে ভেজা দা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।খোয়াইয়ের এসপি ভানুপদ চক্রবর্তী জানান, চিকিৎসকের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ওই মহিলার মানসিক বিকার নিয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না।